#কলকাতা: তথ্য লুকিয়েছে কলকাতার বড়বাজারের স্কুল। স্কুলকে নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও মামলায় গরহাজিরা। বিচার হবে কী ভাবে? শ্রী জৈন সেতাম্বর তেরাপন্থী স্কুলের কীর্তিতে রুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত বরবাজার থানাকে নির্দেশ বিচারপতির। থানার ওসি স্কুলের তিন পদাধিকারীকে এজলাসে হাজির করাতে হবে। অর্থাৎ বরবাজার থানার পুলিশ স্কুল পরিচালন সমিতির ৩ গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীকে নিয়ে আসবে ১৭ নং আদালত কক্ষে। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি, সম্পাদক এবং স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তিনজনকে ৪ মে সকাল সাড়ে দশটায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার কোনও স্কুলের প্রধানদের পুলিশ আদালতে হাজির করছে এমন উদাহরন নেই। রিষড়ার বাসিন্দা উমেশ সিং। ২০০৭ সাল থেকে শিক্ষকতা করেন বড় বাজারের এই স্কুলে। ইতিহাসের শিক্ষকতা করেন তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস নেন নিয়মিত এখনও পর্যন্ত তাঁর ক্লাস নেওয়ার কোনও ফাঁকি নেই। ২০১৭ এবং ২০২০ সালের ঘটনার ঘনঘটায় কিছুটা দিশেহারা এই শিক্ষক। ২০১৭ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর চাকরি পাকা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টে তিনি মামলা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের কাছ থেকে অনুমোদন চেয়ে আবেদন রাখেন আদালতের কাছে। হাইকোর্ট তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরকে বিবেচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে বলে।
আরও পড়ুন: গরমে দামে লেবুকে ছাড়াল ডাব! একটা ডাবের দাম কত জানেন?
২০২১ সালে এসে ডিআই,কোলকাতা শুনানির পর ওই শিক্ষকের অনুমোদন বাতিল করে। উমেশ সিং আইনজীবী অঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ২০২০ সালে স্কুল কতৃপক্ষ আমার মক্কেলের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে দেয় এবং বেতনও সব দেয়। আজ পর্যন্ত তাঁর বেতন প্রাপ্তিতে কোনও ছেদ নেই। এই ২০২০ সালের বিষয়টি বেমালুম লুকিয়ে ২০২১ সালের ডিআই শুনানি করায় স্কুল কতৃপক্ষ। এই বিষয়টি আমরা আদালতের সামনে তুলে ধরি। স্কুলকে বারবার নোটিশ দেওয়ার পরেও মামলায় হাজির না হওয়ায় কলকাতা পুলি কে সক্রিয় করেছেন বিচারপতি।
দীর্ঘদিন ধরে কার্যত একক প্রচেষ্টায় এজলাস সচল রেখে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত কিছু আইনজীবীর সিদ্ধান্তের কারণে ও বারের একাংশের প্রস্তাবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে অনুপস্থিত রাজ্য সরকারের আইনজীবী, স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীরা। বিচারপ্রার্থীদের স্বস্তি দিতে প্রতিদিন বিচার্য মামলার নথি নিজে খুঁটিয়ে পড়ে নির্দেশ দিচ্ছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির এমন নির্দেশে আশার আলো দেখছেন উমেশ সিং।
ARNAB HAZRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: High Court, Kolkata, School