করোনা রিপোর্ট নিয়ে ধন্দ, গরু পাচারের অন্যতম চাঁই এনামুলকে গৃহবন্দী করার নির্দেশ আদালতের
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে, রিপোর্ট পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে আসানসোলের বিশেষ CBI আদালতে হাজিরা দিতে হবে এনামুল হক-কে।
#কলকাতা: গরু পাচার-কাণ্ডে তলবের পরেই এনামুল হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বিষয়টি কাকতালীয় মনে হলেও, সিবিআই তা মানতে নারাজ। গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল আদৌ করোনা আক্রান্ত কি না, তা নিশ্চিত হতে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তাঁর কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে তৎপর হল সিবিআই।
গরু পাচারের অন্যতম চাঁই এনামুল হক-কে কার্যত গৃহবন্দী করার নির্দেশ আদালতের। নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিদিন সিবিআই অফিসাররা তাঁর বাড়ি ভিজিট করবেন, বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না এনামুল। হোম আইসোলেশন পর্বে সিবিআই-কে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷
কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে, রিপোর্ট পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে আসানসোলের বিশেষ CBI আদালতে হাজিরা দিতে হবে এনামুল হক-কে।যদি রিপোর্ট ফের পজিটিভ আসে তাহলে ১০ দিন পরে ফের পরীক্ষা করা হবে এবং পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে আসানসোল আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এমনটাই নির্দেশ আদালতের ৷
advertisement
advertisement
CBI-এর আধিকারিকরা রোজ অভিযুক্তকে ভিডিও কল করবেন এবং অভিযুক্ত তা রিসিভ করতে বাধ্য থাকবেন। এছাড়াও CBI আধিকারিকরা রোজ অভিযুক্তরা বাড়ি গিয়ে দেখে আস্তে পারেন যে তিনি সেখানে আছেন কিনা। নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের। তাঁর বিরুদ্ধে FIR খারিজের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন এনামুল। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও মূল আবেদনের শুনানি ৬ সপ্তাহ পর হবে।
advertisement
গরুপাচারকাণ্ডে সরগরম রাজ্য। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ী এনামুল হক ও বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সিবিআই ও শুল্ক দফতর সূত্রে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গরু দুধ দেয়। গরু সোনাও দেয়। অর্থাৎ গরুপাচারে কোটি কোটি টাকা হাতবদল হয়ে যায় ৷ আবার সোনার বার পৌঁছে যায় গরুপাচারকারীদের হাতে ৷ এপার বাংলা থেকে নদী বা কাঁটাতার পেরিয়ে গরুপাচারের কারবার চলে। কিন্তু পাচারের টাকা কখনও ব্যাঙ্কে লেনদেন হয় না। টাকা বিনিময় হয় এই সোনার বারের মাধ্যমেই। কিন্তু কেন এই কৌশল? আসলে আর্থিক লেনদেনে ধরা পড়ার ভয় বেশি ৷ ক্যারিয়ারদের মাধ্যমে টাকা পাঠালে টাকা খোয়া যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে ৷ তাই সোনার বার ক্যারিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে যায় পাচারকারীদের কাছে ৷
advertisement
শুধু তাই নয়, সিবিআই ও শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, গরুপাচারের টাকা হাওয়ালা ও হুন্ডির মাধ্যমে বিভিন্ন বেআইনি কারবারে খাটানো হয় ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, গরুপাচারের রাস্তার সন্ধানও মিলেছে। একটি রুটে গরু পানাগড় কাঁকসা থেকে মোড়গ্রাম ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে মালদহ, মুর্শিদাবাদ সীমান্তে পাচার হয়। কৃষ্ণনগর হয়ে গরু ঘোজাডাঙা স্বরূপনগর সীমান্তে পৌঁছয়। আরেকটি রুটে গরু বিহার থেকে ডালখোলা হয়ে হিলি, ফাঁসিদেওয়া ও চাপড়ায় পৌঁছয় ৷ কীভাবে পাচার হয় ? কীভাবে চলে কোটি কোটি টাকার লেনদেন ? আরও কারা জড়িত রয়েছে এই চক্রে? সেসব জানতে চলছে সিবিআই তদন্ত।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
November 25, 2020 10:51 AM IST