শহরের বুকে এল স্বাস্থ্যসম্মত আইসক্রিম, কীভাবে আসে এর সুস্বাদ? শুনলে অবাক হবেন

Last Updated:

এখন প্রায় একশোর উপর দোকানে পৌঁছে যায় তাঁর আইসক্রিম।

স্বাস্থ্যসম্মত আইসক্রিম
স্বাস্থ্যসম্মত আইসক্রিম
ওঙ্কার সরকার, কলকাতা: আট থেকে আশি সকলের জন্য শুধু ফল ব্যবহার করে নয়া ধরনের আইসক্রিম আবিষ্কার করেছেন যাদবপুরের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক অসীম চট্টোপাধ্যায়। মানুষ যাতে সুস্থ থাকেন এবং তার সঙ্গে সঙ্গে আইসক্রিমের স্বাদটাও উপভোগ করেন সে কারণেই এই নয়া আইস ক্যান্ডি আবিষ্কার করেছেন অসীমবাবু। নতুন ধরনের এই আইসক্রিম তৈরি হয় শুধু ফলের রস দিয়ে। বিভিন্ন ঋতুকালীন ফল দিয়ে আইসক্রিম বানান অসীমবাবু।
তাঁর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, ‘দোকান থেকে সাধারণ মানুষ কাপ, কোণ যেই আইসক্রিমই কিনে খান না কেন সেটা আমার কাছে স্বাস্থ্যসম্মত নয়। স্বাদ আর আকর্ষণের প্রতিযোগিতায় অনেক বেশি কেমিক্যাল ব্যবহার হয় এই সমস্ত আইসক্রিমে। আমি যেই আইসক্রিম গুলোবানাই তাতে বলতে পারেন ৯৯ শতাংশই ফলের রস থাকে। স্বাদের জন্য শুধু একটু চিনি দিতে হয়’।
advertisement
advertisement
প্রায় ৬০ রকম ফল দিয়ে আইসক্রিম বানিয়েছেন যাদবপুরের এই গবেষক। আম, জাম, আঙুর, সবেদা, কমলালেবু, কামরাঙা, কাঁঠাল, ডাব, আতা, আনারস, তরমুজ, লিচু কী নেই সেই তালিকায়। বাড়িতেই ল্যাব তৈরি করে নিয়েছেন নিজের মতো। সংবাদপত্রে অ্যাসিস্ট্যান্টের জন্য বিজ্ঞাপন দেন। যাঁরা এসেছে নিজের হাতে করে ট্রেনিং দিয়েছেন তাঁদের। সারাদিন বাড়িতেই অ্যাসিস্ট্যান্টদের নিয়ে গবেষণা চালান নিজের মনে। কখনও কখনও অনলাইনে ক্লাস করান রাজ্যের বাইরে থাকা বিভিন্ন ছাত্রদের।
advertisement
তবে নয়া এই আইসক্রিমের পিছনে রয়েছে এক অন্য গল্প। ২০০৪-০৫ সালে এক কৃষক নেতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অশোকনাথ বসুর কাছে এসেছিলেন চাষীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। তাঁর দাবি ছিল, চাষীরা ফল উৎপাদন করছে কিন্তু তা সাধারণ মানুষের পৌঁছানো যাচ্ছে না, বাজারজাত করা যাচ্ছে না। যদি তাঁরা কিছু একটা করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের থেকে সেই ভাবনা আসে তৎকালীন সহ উপাচার্য প্রফেসর সিদ্ধার্থ দত্তের কাছে। দুজনে মিলে তারপর যোগাযোগ করেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে। সেই শুরু গবেষণা। অসীমবাবু বলেন, ‘প্রথমে আমরা আবিষ্কার করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু বাইরের মানুষের কাছে আমরা তা পৌঁছে দিতে পারিনি। তখন ছাত্রদেরই বিনামূল্যে খাওয়াতে শুরু করি। দিন কয়েকের মধ্যে এর কথা এত ছড়িয়ে পড়ে যে অন্যান্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ছাত্রছাত্রীরা আসত এই আইসক্রিম খেতে’।
advertisement
বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোজেক্ট বন্ধ হয়ে গেলেও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রিটায়ার করার পর নিজের বাড়িতে আবার গবেষণা শুরু করেন অসীমবাবু। এখন প্রায় একশোর উপর দোকানে পৌঁছে যায় তাঁর এই আইসক্রিম। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপকের বাড়িতে গোটা একটা ঘর জুড়ে স্টোররুম রয়েছে। কাঁচামাল থেকে শুরু করে ফলের বাজার করা, আইসক্রিম বানানো থেকে বাজারে পৌঁছানোর খরচ অনেকটাই। পাশাপাশি অন্যান্য গবেষণার চাপ। সব মিলিয়ে বিজ্ঞানের জগতেই দিন কাটান যাদবপুরের এই গবেষক। চিন্তা রয়েছে একটাই, কিভাবে পরিবেশকে সুস্থ রাখা যায়, সাধারণ মানুষকে সুস্থ রাখা যায়।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
শহরের বুকে এল স্বাস্থ্যসম্মত আইসক্রিম, কীভাবে আসে এর সুস্বাদ? শুনলে অবাক হবেন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement