পথ দেখাচ্ছে হাতিবাগান, বাজারে শুরু হল থার্মাল স্ক্রিনিং, খোলা থাকছে মাত্র দু’টি গেট 

Last Updated:

উত্তর কলকাতার এটাই প্রথম বাজার যেখানে মঙ্গলবার থেকে ক্রেতাদের জন্য শুরু হয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিং। হাত স্যানিটাইজ করে বাজারে ঢোকা বাধ্যতামূলক।

DEBAPRIYA DUTTA MAJUMDAR
#কলকাতা: রাজ্যে  ও শহর কলকাতার বেশ কিছু বাজারে ভিড় অব্যাহত। বারবার প্রচার চালিয়ে লাভ হয়নি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা যেন কানেই পৌঁছয়নি কারোর।  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রচার করা সত্ত্বেও কিছু মানুষ এখনো তা মানছেন না অনেক জায়গাতেই।
যদিও উত্তর কলকাতার হাতিবাগানে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।  উত্তর কলকাতার এটাই প্রথম বাজার যেখানে মঙ্গলবার থেকে  ক্রেতাদের জন্য শুরু হয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিং। হাত স্যানিটাইজ করে বাজারে ঢোকা বাধ্যতামূলক। বাজারের মধ্যে সাতটি গেটের মধ্যে ক্রেতাদের জন্য মাত্র দুটি গেট খোলা থাকছে।  মেন গেট দিয়ে এন্ট্রি  ও  মশলাপট্টি হিসেবে পরিচিত গেট দিয়ে  হচ্ছে এক্সিট। গেটে মোতায়েন পুলিশকর্মী। দূরত্ব মেনে বাইরে লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে।  সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখা হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী সকাল ৬ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে বাজার। একসঙ্গে বহু মানুষকে বাজারে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। ভিড় কমাতে ভিতর থেকে বহু বিক্রেতাকে বের করে এনে বাইরেও বসানো হয়েছে।
advertisement
advertisement
হাতিবাগান বাজার সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সাধন সরকার জানিয়েছেন , বাজারে এত ভিড় হয়ে যাচ্ছিল যে গায়ে গা ঠেকে যাচ্ছিল ।সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছিল না। তাই দুটি মাত্র গেট খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা থার্মাল স্ক্রিনিং ও হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক করেছেন। বাজার সমিতির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এসরাফিল মোল্লা জানিয়েছেন যে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তারা ক্রেতা ও  বিক্রেতাদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলেন। প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ক্রেতাদের বাড়ি থেকে ব্যাগ আনার অনুরোধ করছেন তারা । এই সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রেতারা। বাজারে ভীড় বাড়লেও যেন এই নিয়ম কানুন পালন হয় তার দিকে নজর দিতে বলেছেন অনেক ক্রেতাই। পুলিশ সূত্রে খবর বাজারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কেউ বিধি না মানলে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
advertisement
বাজারের ব্যবসায়ীরা সামাজিক দূরত্ব না মানলে সেই বাজার বন্ধ করে দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার পুর ভবনে করোনা মোকাবিলার জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তিনি। বিভিন্ন ছোট বড় বাজারের দূরত্ব বিধি না মানার অভিযোগ উঠছে সে প্রসঙ্গে মেয়র জানিয়েছিলেন, পুলিশকে বলা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব না মানলে বাজার বন্ধ করে দিতে। এর পরেই বিভিন্ন বাজারে নিয়ম কানুন মানার সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে বেশ কিছু বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। দেখা গেছে লকডাউনেও সবজি বাজারে বিকিকিনি কমেনি। বরং বেড়েছে। আর তাই হাতিবাগান বাজারের মত পদক্ষেপ অন্যরা ও নিতে শুরু করবে সে ব্যাপারে আশাবাদী প্রশাসন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
পথ দেখাচ্ছে হাতিবাগান, বাজারে শুরু হল থার্মাল স্ক্রিনিং, খোলা থাকছে মাত্র দু’টি গেট 
Next Article
advertisement
Bangladesh Leader: ‘সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব’! হুমকি বাংলাদেশের নেতার! বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার বার্তা
‘সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব’! হুমকি বাংলাদেশের নেতার!
  • ‘সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেব’

  • ভারতবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে আশ্রয় দিক বাংলাদেশ

  • হুমকিমূলক ভাষণ বাংলাদেশের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর

VIEW MORE
advertisement
advertisement