#কলকাতা: স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে কড়া হচ্ছে রাজ্য। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের ভর্তি নিচ্ছে না। এমনকি মূমুর্ষ রোগীর যথাযথ চিকিৎসা অবধি করা হয়নি। এমনই বিস্তর অভিযোগ এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে৷ গত বছরের শেষ দিকে স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে একাধিক কড়া নিয়ম চালু করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ তারপরেও অভিযোগ আসা কমেনি৷
শনিবার ডায়মন্ড হারবারের পর্যালোচনা বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই এই নিয়ে ফের কড়া অবস্থান জানাতে পারে রাজ্য। প্রসঙ্গত, শনিবার অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, " স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা মিটিয়েছি। যে বা যারা এই কার্ড নেবে না, সেই ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সিএমওএইচ বসে আলোচনা করুন। স্বাস্থ্য সাথী থাকলে রেফার যাতে না হয় তা দেখতে বলা হয়েছে৷ কেউ যদি বলে ফিরিয়ে নেব, তাহলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সংক্রান্ত রেগুলেটরি বোর্ড করা আছে। কেউ যদি সরকারি স্কিমে অবমাননা বা তাচ্ছিল্য করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এটা সারা বাংলা জুড়ে নেওয়া উচিত। রোগ কখনও বলে আসে না। এমারজেন্সি বলে আসে না। কার্ডের জন্য যদি চিকিৎসা না করে, এর থেকে বড় বর্বরতা আর কিছু নয়। ব্যবসায়িক কারণে কেউ নিজেদের স্বার্থ দেখলে তার বিরুদ্ধে বাংলা জুড়েই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।"
আরও পড়ুন - Indus Water Treaty: সিন্ধু নদের জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তান ঘোঁট পাকাচ্ছে, পরিবর্তন করতে চায় ভারত
আরও পড়ুন - IND vs NZ: লজ্জার হারের বদলার জন্য ফুটছে! প্লেয়িং ইলেভেন বড় চমক নাকি পিচই ভিলেন, রইল আপডেট
সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি নিয়ে ফের নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরেও। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এর আগেও উঠেছে বেনিয়মের অভিযোগ। কখনও বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে রোগী। কখনও স্বাস্থ্য সাথীর প্যাকেজের থেকে বেশি টাকা রোগীর থেকে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি। একাধিক অভিযোগের ভিড়ে তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালকে টাকা মেটানো নিয়ে গত মাসেই আরও কড়া অবস্থান নিয়েছিল রাজ্য সরকার। নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, চিকিৎসা শুরুর আগে রোগী রেফার হলে বা মারা গেলে প্যাকেজের পুরো টাকা পাবে না হাসপাতাল। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, রোগীর অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে যদি দেখা যায়, অস্ত্রোপচার সম্ভব নয়, তাহলে প্যাকেজের ৩৫% টাকা দেবে সরকার। অস্ত্রোপচার আংশিক হলে মিলবে ৫০% টাকা। অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হলে মিলবে ইমপ্ল্যান্টের খরচ এবং মোট প্যাকেজের মাত্র ৩০%। কিডনি ও গলব্লাডারের পাথর পুরোপুরি না বের হলে পাওয়া যাবে ৬০% টাকা। অস্ত্রোপচারের আগেই রোগী মারা গেলে মাত্র ২৫% টাকা পাবে হাসপাতাল। অস্ত্রোপচার চলাকালীন রোগীর মৃত্যু হলে মিলবে অর্ধেক টাকা। অস্ত্রোপচারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগী মারা গেলে ৭০% টাকা পাবে হাসপাতাল। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাবার আগে রোগী মারা গেলে মিলবে ৮৫% টাকা। অস্ত্রোপচার দরকার নেই, এরকম রোগীর ক্ষেত্রে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হলে মিলবে মাত্র ১৫% টাকা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে, চিকিৎসা শুরুর আগেই রোগীকে রেফার করে দিলে সেই হাসপাতলকে কোনও টাকাই দেওয়া হবে না।
চিকিৎসা পুরোপুরি শেষ না করে রোগীকে রেফার বা ট্রান্সফার করলে মিলবে অর্ধেক টাকা। আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অস্ত্রোপচার না করে রেফার বা ট্রান্সফার করলে মিলবে ২৫% টাকা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।