রাজ্যের ভাষাগত সংখ্যালঘুদের লড়াইয়ের ডাক, রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলে বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করার দাবি

Last Updated:

রাজ্য সরকার পরিচালিত বাংলার সমস্ত স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হোক। সেইসঙ্গে বাংলা পড়ানোর জন্য প্রতিটি স্কুলে দু’জন করে স্থায়ী বাংলার শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। এই দাবি তুলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লিঙ্গুইস্টিক মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলা পড়ানোর জন্য প্রতিটি স্কুলে দু’জন করে স্থায়ী বাংলার শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। এই দাবি তুলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লিঙ্গুইস্টিক মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন
বাংলা পড়ানোর জন্য প্রতিটি স্কুলে দু’জন করে স্থায়ী বাংলার শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। এই দাবি তুলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লিঙ্গুইস্টিক মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে ভাষাগত সংখ্যালঘু মানুষদের বর্তমান অবস্থা, সেই সমস্ত মানুষদের সমস্যা এবং সমাধানের সঠিক পথ- শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে উঠে এল বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। রাজ্য সরকার পরিচালিত বাংলার সমস্ত স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হোক। সেইসঙ্গে বাংলা পড়ানোর জন্য প্রতিটি স্কুলে দু’জন করে স্থায়ী বাংলার শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। এই দাবি তুলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লিঙ্গুইস্টিক মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন।
এই অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম উদ্যোক্তা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর কথায়, ‘‘ ১৫ মার্চ, ২০২৩ সালে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, পশ্চিমবঙ্গে সিভিল সার্ভিস (এক্সিকিউটিভ) পদে নিয়োগের জন্য লিখিত যে পরীক্ষা হয়, সেটা শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় দেওয়া যাবে। অতীতে বাংলা ভাষার বিকল্পে হিন্দি, উর্দু এবং সাঁওতালি ভাষাতেও ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারত। সরকারের হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে অন্ধকার নেমে এসেছে রাজ্য সরকার পরিচালিত হিন্দি, উর্দু, সাঁওতাল মাধ্যম স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে। আমরা চাই রাজ্য সরকার অবিলম্বে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করুক।’’
advertisement
advertisement
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ‘‘রাজ্য সরকার পরিচালিত সমস্ত স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা বাধ্যতামূলক বিষয় হিসাবে পড়ানো হোক। ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা ভাষায় শিক্ষিত করার পর, এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর করা হোক। রাজ্য সরকার পরিচালিত সমস্ত স্কুলে বাংলা পড়ানোর জন্য কমপক্ষে দুজন স্থায়ী শিক্ষক বাধ্যতামূলক নেওয়া হোক।’’
advertisement
সম্প্রতি কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণীর ভাষা পরিষদ প্রেক্ষাগৃহে এক আলোচনা সভায় এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘সরকারের উচিত বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে অবিলম্বে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা।’’ আগামী দিনে বিধানসভাতেও বিষয়টি নিয়ে তিনি এবং তাঁর দলের বিধায়করাও সরব হবে বলে জানান। পাশাপাশি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুধুমাত্র চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে আলোচনা সভা করে নয়, কলকাতার রাজপথে নেমে আন্দোলনের ঝাঁঝ তীব্র করার পাশাপাশি লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের আইনি লড়াই করারও পরামর্শ দেন শুভেন্দু অধিকারী।
advertisement
ভাষাগত সংখ্যালঘু মানুষদের সঙ্ঘবদ্ধ করে শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আলোচনা সভার আয়োজন করা হচ্ছে বলেও জানান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আজ, শনিবার বেলা ৩টেয় হাওড়ার শরৎ সদনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও সেই আলোচনা সভায় অংশ নেবেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
রাজ্যের ভাষাগত সংখ্যালঘুদের লড়াইয়ের ডাক, রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলে বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করার দাবি
Next Article
advertisement
পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার গুণমান নিয়ে কড়া নির্দেশ মুখ্য সচিবের, জেলাশাসকদের সতর্ক করল নবান্ন
পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার গুণমান নিয়ে কড়া নির্দেশ মুখ্য সচিবের, জেলাশাসকদের সতর্কতা
  • মুখ্য সচিব পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ রাস্তার গুণমান বজায় রাখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন.

  • ৯০০০ কিমি নতুন গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে বিশেষ নজর দেবে রাজ্য প্রশাসন.

  • জেলা ও রাজ্য স্তর থেকে বিশেষ টিম রাস্তাগুলির মান যাচাই করবে বলে নির্দেশ জারি হয়েছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement