কলকাতা: এবার অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের মা প্রিয়া সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারণার অভিযোগ আনলেন একটি স্বেচ্ছা সেবী সংস্থার ডিরেক্টটর সমীরণ মল্লিক!
সমীরণ বাবুর কসবা এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বড় করার জন্য বনির ফ্ল্যাটে নীচের অংশ ফ্ল্যাট কিনতে যান ২০১৪ সালে। ওই অংশটি বনির মা প্রিয়া সেনগুপ্তর নামে। সমীরনের অভিযোগ, ফ্ল্যাটটির দাম আঠাশ লক্ষ টাকা ধার্য হয়। দশ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন তিনি। কিন্তু কিছু দিন কেটে গেলেও ফ্ল্যাট পাননি। এমন কি, অগ্রিম বাবদ দেওয়া টাকাও ফেরত পাননি বলে অভিযোগ সমীরণের।
সমীরণ বাবু কসবায় বনিদের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি ছোট্ট অফিসে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান। তিনি ওই স্বেচ্ছা সেবী সংস্থার ডিরেক্টর।পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করেন সমীরণ মল্লিক। সমীরণ জানান, বনিদের ফ্ল্যাটের নীচের গ্রাউন্ড ফ্লোরটি তিনি কিনবেন বলে ঠিক হয়। ২৮ লক্ষ টাকা দাম চূড়ান্তও হয় । ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন তিনি। ২০১৪ সালের ৪ জুন ফ্ল্যাট বিক্রির যাবতীয় কাগজপত্রও তৈরি হয় বলে দাবি সমীরণবাবুর। চেকে অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন তিনি। বাকি ১৮ লক্ষ টাকা নিয়ে কিছু দিন পর প্রিয়া সেনগুপ্তের কাছে যান সমীরণ মল্লিক।
অভিযোগ, প্রিয়া তখন বলেন, ফ্ল্যাট তিনি দেবেন না। এমন কি, টাকাও ফেরত দেননি বলে অভিযোগ সমীরণের। সাত বছর কেটে গেলেও সেই টাকা বা ফ্ল্যাট কোনোটাই মেলেনি বলে অভিযোগ। সমীরণ বাবু এরপর কসবা থানায় ২০১৭ সালে,র ১৬ জানুয়ারি একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তী সময়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সমীরণবাবু। এর পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ ধারায় বনির মা প্রিয়া সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় বলে দাবি সমীরণের।
সমীরণ মল্লিক জানান, বার বার বলেও কোনও লাভ হয়নি। ছেলে অভিনেতা হওয়ার সুবাদে নিজের প্রভাব খাটিয়েই প্রিয়া ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেননি বলে অভিযোগ।পাল্টা অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত বলেন, "কেন টাকা ফেরত পাননি সেটা উনি ভাল করে জানেন। উনি যেমন কেস লড়ছেন, আমরাও লড়ছি।উনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমরা ক্যামেরার সামনে সব সময় থাকি তাই আমাদের প্রচারের দরকার পড়ে না। আর সমীরণ বাবুদের প্রচারের প্রয়োজন হয় তাই উনি এসব বলছেন। "
অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত ইডি-র হাতে ধৃত কুন্তল ঘোষের থেকে যে ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন, তা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। বনি জানান, " আমি জানতাম না যে কুন্তল নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আমি ২০১৭ সালে কয়েকটি ইভেন্ট প্রোগ্রাম করি। তার পারিশ্রমিক হিসাবে টাকা নিয়েছিলাম। ইডি-র সঙ্গে সহযোগিতা করছি, আগামী দিনেও করব। আর টাকা ফেরতের পর অবশ্যই স্বস্তি বোধ করছি। কৌশানির সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। আমি দুর্নীতিকে সমর্থন করি না। " বনির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নিস্পত্তি হলেও বনির মায়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেই অভিযোগের জট এখনও খোলেনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bonny Sengupta