প্রশ্ন- দিল্লি থেকে সোজা তারকেশ্বর! এটা কি ঝটকা? নাকি আগেই প্রস্তুত ছিলেন?
আমাকে দল থেকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটাই মেনে চলছি। এখন একটা দায়িত্ব দিয়েছে, আগে রাজধানীর রাজনীতির দায়িত্ব ছিল, সেটা পালন করেছি। আসলে এই ভোটটা বিজেপির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই দলের যাবতীয় তৎপরতা।
প্রশ্ন- সেই কারণেই কি এই ছাড়াই বাছাই, হেভিওয়েটদের নামিয়ে আনা?
আমি কতটা হেভিওয়েট জানি না। তবে হ্যাঁ, দল নিশ্চয়ই ভেবেছে আমাদের অভিজ্ঞতাটা এখানে উজাড় করে দিতে পারলে দলের ভালোই হবে। আমরা সেই চেষ্টাই করব।
প্রশ্ন- আপনি, বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, আপনাদের নিয়ে বারংবার গুঞ্জন শোনা গিয়েছে, আপনাদের তিনজনের মধ্যেই কেউ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার। বিজেপির এই সিদ্ধান্ত কি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে ?
আমরা ক্ষমতায় এলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবে, কে হবে না, আমি এই নিয়ে কিছু বলতে পারি না। আমাদের ভালো লাগছে অনেকে ভাবছে বিজেপি জিতবে। এতে আমরা কিছুটা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পাখির চোখ জয়। হ্যাঁ ,জেতার জন্য খাটছি। আমাদের চারজনের চিন্তাধারা একই। শুধু আমরা কেন অন্যান্যদের সঙ্গেও চিন্তার পার্থক্য নেই। কোনও আলাদা গোষ্ঠী নেই। বাবুলের সঙ্গে লকেটের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। নিশীথের সঙ্গেও আমার ভালো বোঝাপড়া। আমাদের মধ্যে যে কেউই মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে।
প্রশ্ন-ছোটবেলা কেটেছে দার্জিলিংয়ে। সেখান থেকে কলকাতার লা মার্টিনিয়ার হয়ে দিল্লির স্টিফেন কলেজ। আপনার রুটম্যাপে তো তারকেশ্বর নেইই। দল কেন এমন একটা কেন্দ্র দিল? ইমেজের কথা ভেবে?
আমার ইমেজ নিয়ে অন্যেরা বলবে। আমার না বলাটাই ভালো। দল নিশ্চয়ই বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রশ্ন- কিন্তু অনেকই বলছেন, এর পিছনে রয়েছে বড় হিসেবনিকেশ। তারকেশ্বরের উন্নয়ন পর্ষদে ফিরহাদ হাকিমকে যখন চেয়ারম্যান করা হয় তখন তাই নিয়ে বিতর্ক হয়। যদিও ফিরহাদকে মন্দির ট্রাস্টে আনাই হয়নি। চার বছর পরেও সেই ঘটনা কাজে লাগিয়েই হিন্দু ভোটকে সংগঠিত করতে চাইছে বিজেপি?
- এ কথা সত্যি ফিরহাদ হাকিমকে যখন ওই পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল, অনেকে আহত হয়েছিলেন। ওই ভদ্রলোক সম্পর্কে আমি বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাই না। তবে আমার মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ভাবাবেগ বোঝেন না, বা রক্ষা করে না। যদিও পরে ফিরহাদ হাকিমকে সরানো হয়। তবে মানুষ চোট পেয়েছে। এটুকুই বলব।
আপনার কী মনে হয়, কত আসন পাচ্ছে বিজেপি?
দলের লক্ষ্য ২০০। আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি এর জন্য। বিজেপির নীচুতলার কর্মী থেকে কার্যকর্তা সবাই পুরোপুরি নেমে পড়েছে। আশা করি ভোটটা নির্বিঘ্নে হবে। নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে। বাংলায় বেশ কিছু পিকিউলিয়ার বিষয় রয়েছে। সেগুলি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে।
তারকেশ্বরে প্রচারের স্ট্র্যাটেজি কী হবে?
এখুনি বলতে পারব না। তারকেশ্বর আজ থেকে যাচ্ছি। গতকাল যখন ঘোষণা হয়েছে তখন অমিতজীর অনুষ্ঠানে ছিলাম। তবে আমাদের মূল প্রচারটা তো জাতীয় স্তরের।
অর্থাৎ বলতে চাইছেন সেই মোদি হাওয়া? স্থানীয় স্তরের কোনও ভাবনা নেই?
তারকেশ্বর ধর্মীয় স্থান। কৃষি প্রধান জায়গা। বহু লোক ডেলি প্যাসেঞ্জার এছাড়া শিক্ষা-স্বাস্থ্য রয়েছে। এগুলি তো ভাববই। তবে মূল লক্ষ্য যদি বলেন তা তো একটাই, তৃণমূলকে গদি থেকে থেকে সরানো।