#কলকাতা: পুলিশের চোখে ধুলো নয়, আক্ষরিক অর্থেই লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে বৃহস্পতিবার আদালত চত্বর থেকে পালিয়েছিল বন্দি। তারপরও কোনও হেলদোল নেই। সোমবার আলিপুর আদালত চত্বরে দেখা গেল, শুধু হাত ধরেই বন্দি নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশকর্মী । কোনও বাড়তি নিরাপত্তাও নেই। বন্দিদের পালানোর সুযোগ সর্বত্র।
পুলিশের উর্দিটাই যা আলাদা করে চিনিয়ে দেয়। নয়তো দেখে বোঝার উপায় নেই, কার পরিচয় কী। হাবেভাবে যেন কতদিনের চেনা... যেন হাত ধরে ঘুরছেন দু'বন্ধু । বন্দি যদি চায়, এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে পগারপার... শুধু ফাঁক পেলেই হল.. সুযোগ আর উপস্থিত বুদ্ধি লাগালেই যথেষ্ঠ।
বৃহস্পতিবারই আলিপুর আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যায় বিচারাধীন বন্দি শেখ রজ্জাক। প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয় পুলিশের চোখে। পরিকল্পনামাফিক আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায়। আদালত চত্বরে বাড়তি পুলিশকর্মীও ছিল না। সোমবারও দেখা গেল সেই একই চিত্র ৷ সর্বত্র ঢিলেঢালা নিরাপত্তার ছবি । আলগাভাবে বন্দিদের নিয়ে যাওয়ার ছবি।
কিন্তু কোনও বন্দিকে হাতকড়া বা দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার উপর সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে। এক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্টান্ট দেখাতে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে গেল কিশোর
তাহলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কি এভাবেই আপস চলবে? প্রাক্তন পুলিশকর্তাদের মত, অনেকসময় একজন পুলিশকর্মী বারবার একই বন্দিকে নিয়ে যান ৷ সেক্ষেত্রে পরিচয় বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেয় বন্দি ৷ এক্ষেত্রে পুলিশকর্মীকে আরও সতর্ক হতে হবে ৷ একজন বন্দির জন্য রক্ষীর সংখ্যাও বাড়াতে হবে ৷
বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে বন্দি পালিয়েছিল। পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে বন্দি পালানোর ঘটনা আগেও একাধিকবার ঘটেছে। বৃহস্পতিবারের পর সোমবার। খুব বেশিদিন হয়নি। আবারও পুনরাবৃত্তি হবে না তো ? কবে টনক নড়বে ?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipore Jail