#কলকাতা: দল ছেড়েছেন। এখনও স্থির হয়নি পরবর্তী গন্তব্য। দেবশ্রী রায় অবশ্য কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বলছেন যে কোনও দরজাই খোলা। তাঁর কথায়,আমায় কেউ সসম্মানে যদি ডাকে দরজা খোলা রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ব্যখ্যা, এই কথার অর্থ গেরুয়া শিবিরে যোগদান কেবলই সময়ের অপেক্ষা।
গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেও রায়দিঘিতে টিকিট পাবেন কি? বিজেপি তো সেখানে অন্য প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে। দেবশ্রী জানাচ্ছেন, রায়দিঘিতে তিনি দাঁড়াতেই চান না।
যদিও ভোটরাজনীতিই একমাত্র ধ্যানজ্ঞান নয়, সেটাও বুঝিয়ে দিচ্ছেন দেবশ্রী। তাঁর কথায়, আমি টিকিট নিয়ে হতাশ নই। পথপশুদের সেবা করি। এনজিও চালাই। সেগুলি করব। অভিনয়ের বেশ কয়েকটি অফার রয়েছে। সব মিলিয়ে আমি খুশি রয়েছি।শেষ দুবার সাংসদ হলেও দেবশ্রী রায় দলেও খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না। টোটো তহবিল সংক্রান্ত মামলায় নাম জড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তি বাড়ে। অতীতে বারংবার বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সব মিলিয়েই ৬৪ খোপের খেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুঁটি সাজানোর সময় তাঁর নাম বাদ পড়ে। গোটা বিষয়টাই অবমাননা হিসেবে দেখছেন দেবশ্রী রায়। তাঁর কথায়, "আমার পিছনে বিখ্যাত মা বাবা ছিল না। নিজের চেষ্টায় দেবশ্রী রায় হয়েছি।এক কোণে পড়েছিলাম। আমি বারংবার বলেছি, এরপর টাকা ফেরত যাবে, ওরা এমপি ল্যাডের টাকা নেয়নি। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত আর পারলাম না।"
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উপরও একরাশ অভিমান ঝরে পড়ল। চেষ্টার কসুর করেননি তাঁকে বোঝানোর, এমনটাই মত নায়িকার। দেবশ্রীর কথায়, "ঘরে অশান্তি হলে তো বাইরে বলতে পারবেন না। নেত্রীকে জানিয়েছিলাম। উনি সব জানেন।"
দেবশ্রীর বিজেপি যোগের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই আসছে শোভন চট্টোপাধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। কারণ অতীতে তাঁরাই দেবশ্রীর বিজেপি যোগে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। নাম শুনে রীতিমতো চটে গেলেন তিনি। বললেন, "ওঁরা অমিতাভ রেখা নয়। ওদের নিয়ে আলোচনা করব কেন। আপনারা ওকে হাইপ দিয়েছেন।"
-উজ্জ্বল রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।