কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাই। এই দাবিতে বুধবার বেহালা ১৪ নম্বর থেকে সখেরবাজার পর্যন্ত মিছিল করল সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটি। এই মিছিলে পা মেলান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, দলের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক ও রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কল্লোল মজুমদার, সুদীপ সেনগুপ্ত, কৌস্তুভ চট্টোপাধ্যায়, প্রতীপ দাশগুপ্ত, ইন্দ্রজিৎ ঘোষের মতো নেতৃত্বরা।
মিছিল শেষে সখের বাজার একটি পথসভা করা হয়। এখানে বক্তব্য পেশ করেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “মমতা বলেছিলেন সব কেন্দ্রে তিনিই প্রার্থী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই কেন্দ্রের এমএলএ। একই সঙ্গে মন্ত্রী, মহাসচিব। আজ বোঝা গেল তিনি মহাচোর। নাক কাটানোর হলে নাকতলার কাটতো। বেহালার নাক কেনও কাটাতে এলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে সব কিছু সাজিয়েছেন। যত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি, স্কুলের কমিটি, মাদ্রাসা কমিটি। মমতা বন্দোপাধ্যায় সব ভোট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রচার করা হয়েছিলো রাজনীতি করছে বামেরা।’
আরও পড়ুন: উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকে সরকারি চাকরির মহাসুযোগ, আজই আবেদন করুন
সেলিমের অভিযোগ, ‘সঠিক ভাবে কমিটিতে নির্বাচন করা হলে এসব হতো না। যাকে জনতার প্রতিনিধি বলা হল সে ছিল মমতার প্রতিনিধি। ঠিক তেমন ভাবেই বিজেপিতে মোদির প্রতিনিধি। এখন প্রতিদিন ধরা পড়ছে। আসলে এরা সব দাবার বোড়ে ধরা পড়ছে। দুর্নীতির ছক আটকাতে হলে আর আমাদের রাজ্যকে ঠিক করতে হলে বোড়ের পাশাপাশি রাজা রানিকেও ধরতে হবে। আর এই কথা বলার জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এটা আমাদের কাজ? এর জন্য তো পুলিশ আছে। কিন্তু পুলিশ সেই কাজ করছে না। ওরা চোর জোচ্চোরদের পাহাড়া দিচ্ছে। মমতা বলেছিলেন মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগাও। কিন্তু এখন মানুষ সব বাধা সরিয়ে বলতে শুরু করেছেন। আমাদের সাফ কথা এখানকার মানুষ জেলে যাবেন সার্টিফিকেট আনতে? আর জেল খাটা একজনের কাছ থেকে মানুষ সার্টিফিকেট নেবেনই বা কেনও?’
আরও পড়ুন: ‘আরও গ্রেফতার হবে’, ইডির দাবির পরই গুঞ্জন, ‘এবার কে?’ যা সামনে আসছে, কল্পনাতীত!
এর আগে এলাকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল সিপিএম। রীতিমতো লিফলেট বিলি করে প্রচার কর্মসূচিও করা হয়েছে। ওই লিফলেটে লেখা হয়েছে এলাকার বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় কী কী অভিযোগে অভিযুক্ত। একইসঙ্গে এই বিষয়েও ব্যাখা করা হয়েছে কোনও এলাকার বিধায়ক যদি জেলে বন্দি থাকেন তাহলে সেই এলাকার মানুষকে কী কী অসুবিধায় পড়তে হয়। যেমন লিফলেটে লেখা হয়েছে, ”এলাকার মানুষ নিশ্চয় চান না বেহালার পশ্চিমের মানুষকে বিধায়কের শংসাপত্র থেকে জরুরি পরিষেবা পেতে প্রসিডেন্সি জেলের দরজায় মাথা ঠুকুন। বিধায়ক তহবিলের টাকা সরকারি কোষাগারে নষ্ট হোক। বেহালার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাক।” উল্লেখ্য, বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত। এই মুহূর্তে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি।
উজ্জ্বল রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cpim, Mohammad Selim