#কলকাতা: নববর্ষের পর অক্ষয় তৃতীয়া। এই দিনেও অনেকেই হালখাতা করে থাকেন। তার জন্য পুজো দিতে অনেকের কাছেই প্রিয় কালীঘাট মন্দির। কিন্তু করোনাভাইরাস ও লকডাউন এর জেরে এবছর নববর্ষের পর অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেও বন্ধ থাকছে কালীঘাট মন্দির। তার জন্য হতাশ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ভক্তরা। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই বন্ধ রয়েছে কালীঘাট মন্দির। প্রত্যেক বছর এই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম হয় কালীঘাট মন্দিরে। তার জন্য আগের দিন রাত থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় কালীঘাট মন্দিরে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ভোর বেলা থেকেই লম্বা লাইন পড়ে যায় কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকাতে। মন্দিরের বাইরে থাকা মিষ্টি ব্যবসায়ীদের মধ্যে থেকে একজন বলছিলেন " ভোর বেলা থেকেই প্রচুর ভিড় শুরু হয় এই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। কার্যত মন্দির চত্বরে পা ফেলার জায়গা থাকেনা।" কিন্তু এবছর লকডাউন এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সেই ছবিটাই কার্যত বদলে দিল। তবে অন্যান্য দিনের মতো রবিবার রীতি মেনেই তিনদফা তেই পুজো হবে মা কালীর। মাকে দেওয়া হবে ভোগ প্রসাদও।
তবে পুজো হলেও রবিবার কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকাতে। তার জন্য কড়া নজরদারি রাখবে পুলিশ গোটা কালীঘাট মন্দির চত্বর জুড়ে।
প্রত্যেক বছরেই অক্ষয়় তৃতীয়ার দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পা রাখার জায়গা থাকে না কালীঘাট মন্দিরে। মন্দির কমিটির পরিসংখ্যান বলছে গতবছর এক লক্ষেরও বেশি ভক্ত সমাগম হয়েছিল। মন্দির কমিটির তরফে জানানো হচ্ছে " বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়াই ঠিক। কোনভাবেই আমরা মন্দির চত্বরে কোন জমায়েত করতে দিচ্ছি না। রবিবার অন্যান্য দিনের মতোই নিয়ম মেনে মা কালীর পুজো হবে।"
অন্যদিকে কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন মিষ্টি ও ডালার দোকানগুলোর মালিকদের কার্যত মাথায় হাত পড়েছে লকডাউন এর ফলে। অনেক ব্যবসায়ী নববর্ষ ও অক্ষয় তৃতীয় কে মাথায় রেখে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেন। শুধু তাই নয় এই দিনগুলোর দিকেই তাকিয়ে থাকে গোটা কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন মিষ্টি ও ডালার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবছর লকডাউন এর ফলে নববর্ষের ব্যবসা গেছে। তার উপরে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেও ব্যবসা বন্ধ থাকায় মাথায়়় হাত পড়েছে এই ব্যবসায়ীদের। লকডাউন কাটিয়ে কিভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবেন তা নিয়েই সন্দিহান এই ব্যবসায়ীরা।
সোমরাজ বন্দোপাধ্যায়