আবাস যোজনার তথ্য যাচাই করতে গিয়ে 'হুমকি', এবার আশাকর্মীদের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ
- Published by:Satabdi Adhikary
- Written by:SOMRAJ BANDOPADHYAY
Last Updated:
গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করা সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। সেই দলে গ্রামীণ পুলিশ, পঞ্চায়েত কর্মীরাও রয়েছেন। উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজে বেনোজল ঠেকাতে ত্রিস্তরীয় চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও বিভিন্ন জায়গায় আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন বলে খবর।
#কলকাতা: আবাস যোজনার উপভোক্তাদের তালিকা থেকে নাম বাদ করা এবং নাম ঢোকানোর অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়েই মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকেই আবাস যোজনা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি।
নবান্ন সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা যে সমস্ত অঞ্চলে সমস্যার মুখে পড়ছেন, সেখানে সিনিয়র কোনও আধিকারিককে যেতে হবে।
এছাড়াও, নবান্নের নির্দেশ, যে জায়গাগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা হতে পারে সেই জায়গাগুলিতে আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে। প্রয়োজনে জেলার এসপি-কেও কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: লালন মৃত্য়ুতে চাপে সিবিআই, শুরু বিভাগীয় তদন্ত! দিল্লি থেকে রিপোর্ট তলব
হুমকির মুখে পড়ে এক আশাকর্মীর আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ ওঠার পরে বিষয়টি নিয়ে বেশ অস্বস্তি প্রশাসন। তাই এবার তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যই পুলিশকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল বলে সূত্রের খবর।
advertisement
পাশাপাশি, উপভোক্তাদের প্রাপকদের তালিকার মধ্যে যদি কারোর পাকা বাড়ি থাকে, তাহলে তাদের কোনওভাবেই সেই তালিকায় রাখা যাবে না বলেও এদিন কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। এর আগেও আবাস যোজনা নিয়ে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং দফতরের জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকে পুলিশকে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও একাধিক জায়গায় আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা হুমকি মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
advertisement
অন্যদিকে, জেলাগুলিকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে। তা না হলে, রাজ্যের কোটা হাতছাড়া হতে পারে। সম্প্রতি চিঠি দিয়ে রাজ্যকে সে কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়নমন্ত্রক। সেই চিঠি পাওয়ার পরেই জেলাশাসকদের সতর্ক করেছেন খোদ মুখ্যসচিব।
সূত্রের খবর, জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব বলেছেন কেন্দ্রের স্থির করে দেওয়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ১০০% কাজ শেষ করতে হবে। কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে এ-ও জানানো হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে যেসব রাজ্য তাদের তালিকার লক্ষ্যমাত্র পূরণ করতে পারবে না, তাদের জন্য বাকি বরাদ্দ অন্য রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হবে।
advertisement
প্রসঙ্গত, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করা সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। সেই দলে গ্রামীণ পুলিশ, পঞ্চায়েত কর্মীরাও রয়েছেন। উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজে বেনোজল ঠেকাতে ত্রিস্তরীয় চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও বিভিন্ন জায়গায় আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন বলে খবর।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
December 13, 2022 3:35 PM IST