কলকাতা: গরু পাচার মামলায় আরও নতুন তথ্য পেল সিবিআই। আর সেই তথ্যকে সামনে রেখেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সহেগল হোসেনকে জেরার প্রস্তুতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা শিবিরের অন্দরে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে তিহার সংশোধনাগারে গিয়ে সহেগল হোসনকে জেরা করবে সিবিআই। ইতিমধ্যে সহেগলকে জেরার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় শুল্ক দফতরের কয়েকজন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে গরু পাচার মামলার একাধিক নতুন তথ্য উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলার এফআইআরে বিএসএফ ও শুল্ক দফতরের একাংশের যোগ সাজসের মদতে পাচার চলেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। বিএসএফ কম্যান্ড্যান্ট সতীশ কুমার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছে সিবিআই। শুল্ক দফতরের বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই উঠে এসেছে তথ্য। ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের তরফে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন করা হয়েছিল তারা তিহারে গিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা করতে চায়। অনুমতি দিয়েছে আদালত।
২০২২ সালের জুন মাসে সায়গলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে একই মামলায় নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি। ইডি হেফাজত শেষে তিহারে বন্দি রয়েছেন সায়গল। ইতিমধ্যে তার সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্ট করেছে ইডি। সূত্রের দাবি, তদন্তের প্রয়োজনে আদালতের অনুমতি নিয়ে অনুব্রত, তার মেয়ে ও মণীশ কোঠারিকে জেরা করতে পারে সিবিআই । অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ফ্রিজ করা হয়েছে ২৫টি অ্যাকাউন্ট। যার মধ্যে অনুব্রতর নামে রয়েছে ৬টি অ্যাকাউন্ট। আগে ফ্রিজ করা হয়েছে সহেগলের অ্যাকাউন্টও।
সূত্রের দাবি, গরু পাচার মামলায় বীরভূমকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল সাহায্য করেছে। আর পাচারকারীদের সঙ্গে অনুব্রতর যোগাযোগে মাধ্যম ছিলেন সহেগল। এনামূল হকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখা, তার সহযোগী আব্দুল লতিফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সমস্তটাই করতেন সহেগল। এমনকি আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও অনুব্রতর নির্দেশে সহেগল দেখতেন। এই সহেগলকে ফের জেরা করতে চাইছে সিবিআই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Anubrata Mondal