অর্ণব হাজরা, কলকাতা: পাকিস্তানি মহঃ ইউনিস ওরফে বিলাল। লস্কর-ই-তৈবা সক্রিয় সদস্যকে ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় ঘোষনা করেন বনগাঁ অতিরিক্ত জেলা বিচারক। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১, ১২১এ, ১২২, ১২০ বি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয় মহঃ ইউনিস। ফাঁসির নির্দেশ দেয় বনগাঁ আদালত।
ফাঁসির নির্দেশ করে আপিল করার সুযোগ রয়েছে আইনে। সেই অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স মামলা হয় হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বিলালের প্রথমে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ঢাকায় আস্তানা। তারপর বেনাপোল-পেট্রোপোল হয়ে ভারতে ঢোকে বিলাল। উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে লস্কর -ই- তৈবার সক্রিয় সদস্য রিক্রুটের দায়িত্ব ছিল তার। মূল কাজ ছিল, আত্মঘাতী বোমা বাহিনী তৈরি। মোটা টাকা, নারী লোভে আচ্ছন্ন করে যুবসমাজকে জঙ্গি সংগঠনে টানা। আর তার জন্য সদস্য সংগ্রহ করে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতা চালানো। দেশদ্রোহীতা, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাস্ত্র নির্মান-সহ একাধিক আইপিসি ধারায় মহঃ ইউনিস কে দোষী সাব্যস্ত করে বনগাঁ অতিরিক্ত জেলা জজ।
আরও পড়ুন-শীঘ্রই চালু হচ্ছে সমস্ত পরিবহণ ব্যবহারের জন্য অভিন্ন স্মার্ট কার্ড
১৬/১/২০১৭ ফাঁসির আদেশ দেয় বনগাঁ আদালত, লস্কর-ই-তৈবা সদস্য পাকিস্তানি মহঃ ইউনিসকে। সঙ্গে আরও কয়েক শাগরেদকে শাস্তি দেয় আদালত। ফাঁসির আসামী আপিল করার সুযোগ পায় কলকাতা হাইকোর্টে।এই আপিল মামলা বা ডেথ রেফারেন্স মামলা বা ফাঁসি সুনিশ্চিতকরণ মামলার শুনানি আজ ছুটির দিনে কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ বসিয়ে।বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে।
আরও পড়ুন-আজও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস, ঝড়-বৃষ্টি চলবে আরও কতদিন ?
হাইকোর্টে ছুটির দিনে বিশেষ বেঞ্চ কেন? পাকিস্তানি জঙ্গির জন্য হাই সিকিউরিটি এলার্ট দেশ জুড়ে। দেশের বিভিন্ন জেলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা হয়। বিহারের তিহার জেলে বন্দী সে এখন। মহঃ ইউনিস নিজেই চায় মামলার শুনানি করতে। আদালত একজন আইনজীবী কল্লোল মণ্ডলকে দিয়েছে বিলালের জন্য। তবু সে নিজেই চায় আদালতে সওয়াল করতে।আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল জানান, এই জঙ্গিকে রাজ্যে বেশিদিন রাখা নিরাপত্তা প্রশ্নে ঝুঁকির ৷ তাই আজই মামলার শুনানি। কড়া নিরাপত্তার বলয়ে সকাল ১০ টা নাগাদ হাইকোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে ফাঁসি সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহঃ ইউনিসকে। লস্কর -ই তৈবা সদস্যের ফাঁসি সাজা বহাল থাকে কি না তাই দেখার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Calcutta High Court