বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা, বিধানসভায় রাজনীতির 'শিকার' বারুইপুরের পেয়ারাও!

Last Updated:

গোল বাঁধান বিজেপির বিধায়করা। তাঁরা অধ্যক্ষের দেওয়া পেয়ারা নিতে অস্বীকার করেন।

রাজনীতির শিকার পেয়ারাও!
রাজনীতির শিকার পেয়ারাও!
কলকাতা: তখন বিধানসভা উত্তাল। শাসক ও বিরোধী দল ওয়েলে নেমে এসেছে। স্লোগান পালটা স্লোগান চলছে। কার্যত কেউ কারও কথা শুনতে পারছেন না। সেই সময়েই স্পিকার মাইকে ঘোষণা করে চলছেন প্রত্যেক সদস্যকে পেয়ারা নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এরপরেও ঘটে গেল ফের নজিরবিহীন ঘটনা
কাশ্মীরের আপেল, মুজাফফর পুরের লিচু, মালদহের আমের মতোই বিখ্যাত বারুইপুরের পেয়ারা। বন্ধুর মান ভাঙাতে অথবা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে এর ব্যবহারের দৃষ্টান্ত আছে ভুরি ভুরি। কিন্তু বিধানসভার ইতিহাসে তা বিরল। বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে তার স্বাক্ষী হয়ে থাকল বিধানসভা।
বিধানসভায় সবার জন্য পেয়ারা এনেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি নিজেও ওই এলাকারই জনপ্রতিনিধি৷ বিধানসভায় যখন দুই দলের মধ্যে তুমুল বিতর্ক চলছে, স্লোগান পাল্টা স্লোগানে যখন সরগরম অধিবেশন কক্ষ, ঠিক তখনই  অধ্যক্ষকে মাইকে বলতে শোনা যায়, “আপনাদের জন্য বারুইপুরের পেয়ারা এনেছি। আপনারা সবাই নিয়ে যাবেন।”
advertisement
advertisement
কিন্তু অধ্যক্ষের এই বার্তা আদৌ কি শুনতে পেলেন দুই দলের বিধায়করা? কারণ তারা তখন ঘোর কোন্দলে ব্যস্ত। তবে অধ্যক্ষের কথা মতো পেয়ারা পৌঁছে যায় বিধায়কদের হাতে হাতে। একেই বারুইপুরের পেয়ারা, তার মধ্যে আবার অধ্যক্ষের দেওয়া, সরকারি দলের  বিধায়কদের আর দেখে কে। দুটো, তিনটে এমন কি চারটে পর্যন্ত পেয়ারা নিয়ে সবাই ব্যাগে ভরেছেন। অনেকে তো তখনই কামড় বসিয়েছেন পেয়ারায়। তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “পেয়ারা খুবই মিষ্টি ছিল।”
advertisement
কিন্তু গোল বাঁধান বিজেপির বিধায়করা। তাঁরা অধ্যক্ষের দেওয়া পেয়ারা নিতে অস্বীকার করেন। তাঁদের বক্তব্য, আমাদের বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে অন্যায়ভাবে। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। তারপরেও আমরা পেয়ারা খাব কোন মুখে? ফলে পেয়ারা বয়কটের পথে হাঁটেন বিজেপি বিধায়করা।
পেয়ারাও বয়কট? বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিজ্ঞা বক্তব্য, “আমাদের নেতাকে সাসপেন্ড করবে, আমাদের নামে মিথ্যে মামলা দেবে আর আমরা পেয়ারা খাব? নিতে পারব না।” যদিও পেয়ারা নিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর বক্তব্য, “ভালবেসে দিয়েছেন নেব না কেন? আমার বিরুদ্ধেও অনেক মামলা করা হয়েছে। কিন্তু সেটা তো আইন আদালতের ব্যাপার। কিন্তু পেয়ারা কী দোষ করল? আমি পেয়ারা নিয়েছি। খেয়েছি। বাকিদেরও খাইয়েছি। এটাই তো সৌজন্য। মামলার সঙ্গে পেয়ারা খাওয়ার কী সম্পর্ক?”
advertisement
সম্পর্ক কিন্তু আছে। দু দলের মধ্যে সম্পর্কটা এমন তিক্ততায় পৌঁছে গিয়েছে যে পেয়ারাও এখন ইস্যু হয়ে উঠছে। হোক না বারুইপুরের পেয়ারা, বিজেপি বিধায়করা কিন্তু বুঝিয়ে দিলেন কোনও সৌজন্যের রাজনীতিতে তারা আপাতত নেই। যদিও অধ্যক্ষের ঘর থেকে জানানো হয়েছে বিজেপি পেয়ারা বয়কট করলেও বেশ কয়েকজন বিধায়ক চুপি চুপি পেয়ারা নিয়ে গিয়েছেন। কারা তাঁরা? কী তাঁঁদের নাম? দু’পক্ষই আবার আস্তিনের ভিতরেই রাখছেন। তাহলে কি এর মধ্যে কোনও বার্তা লুকিয়ে আছে? উত্তর সময়ই দেবে৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
বয়কট করলেন বিজেপি বিধায়করা, বিধানসভায় রাজনীতির 'শিকার' বারুইপুরের পেয়ারাও!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement