‘এত চিঠি লিখি, এটাই সামনে এল কেন?’ চিঠি বিতর্ক নিয়ে হঠাৎ ফের বিস্ফোরক সায়ন্তন

Last Updated:

সায়ন্তন অবশ্য জানিয়েছেন, "আমি চিঠি আগেও লিখেছি। এখনও লিখি৷ আবারও লিখব। আমি দলের কর্মী। আমার দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে যদি কিছু লিখেও থাকি, তা প্রকাশ্যে বলব না।"

#কলকাতা: সায়ন্তনের চিঠি ঘিরে রাজনৈতিক চর্চা অব্যাহত। এরই মধ্যে সায়ন্তনের প্রশ্ন? "আমি এত চিঠি লিখি। হঠাৎ এই চিঠিটাই সামনে এল কেন?" প্রসঙ্গত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে লেখা সায়ন্তনের চিঠি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে৷  ২০১৯ মডেল ফিরিয়ে আনা হোক রাজ্য বিজেপিতে। মোদী-শাহ-নাড্ডা-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন আদি বিজেপি নেতা সায়ন্তন ঘোষ। ‘Present Status of Party affairs in the state of West Bengal’- এই শীর্ষক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠির ছত্রে-ছত্রে আক্রমণ করা হয়েছে বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে। তিনি লিখেছেন, ‘১৯৮০ থেকে ২০১৯ সাল অবধি দলের কাজে যারা প্রাণপাত করেছেন তাদের দলে গুরুত্ব নেই। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা দলে এসেছেন অন্য দল (তৃণমূল কংগ্রেস) থেকে তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আসন দেওয়া হয়েছে। ব্রাত্য থেকে গেছেন দলের আদি কর্মীরা।’
advertisement
তিনি লিখেছেন, ‘ফলস্বরূপ দূর্গাপুর পূর্ব, বিধাননগর, পানিহাটি, ব্যারাকপুর, সিঙ্গুর, সিউড়ি, জলপাইগুড়ি, সপ্তগ্রাম, কালনা, ভবানীপুরের মতো আসন হারতে হয়েছে। এর পরেও দল নিজেকে শোধরায়নি। যার ফলে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে দলের ফল নিয়ে চিন্তায়।’
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: রাঁচিতে হাড় হিম করা ঘটনা, ১৩ বছরের ভাইকে গুলি করে হত্যা দাদার
তিনি অভিযোগ করে লিখেছেন, ‘ দুর্নীতি ইস্যুতে প্রতিদিন বিপাকে পড়ছে রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে এর বিরোধিতা করে সেই লড়াইয়ে নেই৷  সাম্প্রতিক কালে বামেদের যুব সংগঠন ৩৫ হাজার যুবদের নিয়ে একটা প্রতিবাদ কর্মসূচী করেছে। যার জন্য একটাও ট্রেন বা গাড়ি ভাড়া করতে হয়নি। দল ভীষণরকম ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। দলের কিছু নেতা ইউটিউবার ও ফেসবুকের মাধ্যমে মিথ্যা ভাবনা প্রচার করছে৷ এতে আসলে ক্ষতি হচ্ছে দলের। আর এর ফলে আগামীদিনে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই হবে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে।’
advertisement
সায়ন্তন লিখেছেন, ‘বর্তমানে দলে নতুনরা জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পাচ্ছে। আমি কোনও নবাগতের বিরুদ্ধে নই৷  কিন্তু তাঁদের দায়িত্ব নিতে এবং কাজ শেখার সময় দিতে হবে৷ যদিও নতুনদের সংখ্যাই এখন সবচেয়ে বেশি। কিছু সিনিয়র নেতা, বিরোধী দলনেতা ও সাংসদ আছেন। যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের যে ভাষায় আক্রমণ করে চলেছেন তা যথাযথ নয়৷ নিজেদের কথা না বলে, তাঁরা দলের আদর্শকে মাথায় রেখে জাতীয় স্বার্থের কথা তুলে ধরুক। একমাত্র কোর ন্যাশনাল ইস্যু আমাদের সঠিক পথে ফেরাতে পারে। এটা অনেকের মধ্যেই ধারণা তৈরি হয়েছে, সিবিআই-ইডি থেকে বাঁচতে অনেকে দলে আসছেন। এখন মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়ে গেছে, রাজ্য বিজেপির বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে। এটা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের দল হয়ে গেছে। আমরা ফের বিকল্প হয়ে উঠতে পারি যদি ২০১৯ সালের পলিসি ফিরিয়ে আনা হয়।’
advertisement
সায়ন্তন অবশ্য জানিয়েছেন, "আমি চিঠি আগেও লিখেছি। এখনও লিখি৷ আবারও লিখব। আমি দলের কর্মী। আমার দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে যদি কিছু লিখেও থাকি, তা প্রকাশ্যে বলব না।"
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
‘এত চিঠি লিখি, এটাই সামনে এল কেন?’ চিঠি বিতর্ক নিয়ে হঠাৎ ফের বিস্ফোরক সায়ন্তন
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement