ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা- মমতা-শুভেন্দুর সৌজন্যে বিড়ম্বনায় বঙ্গ বিজেপি! বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষকে চিঠি দিলেন দলের রাজ্য কমিটির এক সদস্য। ওই নেতা রাজকমল পাঠক চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘নেতাদের সৌজন্যে ভুল বার্তা যাচ্ছে নিচুতলার কর্মীদের কাছে।’’
বিধানসভায় সৌজন্য। মুখ্যমন্ত্রীর চায়ের আমন্ত্রণ। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান বিরোধী দলনেতা। এই সৌজন্য নিয়েই বঙ্গ রাজনীতিতে জোর শোরগোল। চাপানউতোর শুরু বঙ্গ বিজেপির অন্দরেও। সৌজন্যে প্রমাদ বিজেপির নিচুতলায়। বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষকে চিঠি দিলেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য রাজকমল পাঠক। চিঠিতে নির্দিষ্ট করে কারও নাম নেই। তবে যা লেখা হয়েছে, তাতে অনেকেই মনে করছেন মমতা-শুভেন্দু সৌজন্যের কথাই বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- শামশেরনগরে আজ ক্যাম্প করে শীতবস্ত্র দেওয়া হবে, টাকিতেই থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী
পাঠকের পত্রবাণ! সূত্রের খবর, রাজকমল পাঠক চিঠিতে এও লিখেছেন, ‘‘নেতাদের সৌজন্যে ভুল বার্তা যাচ্ছে নিচুতলার কর্মীদের কাছে। নিচুতলার কর্মীরা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার। তাঁরা বিষয়টিকে ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উচিত অবিলম্বে সংবাদমাধ্যমে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া। যাতে কর্মী-সমর্থকদের কাছে দলের অবস্থান স্পষ্ট হয়। বিজেপি নেতা রাজকমল পাঠক বলেন, ‘‘যাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন। যাঁকে তিনি সারাক্ষণ আক্রমণ করছেন, তাঁকে কেন সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করবেন। আমাদের কর্মীরা বাড়ি ছাড়া। তাঁদের মনে দ্বন্দ্ব জাগে। সেই জন্যই অনুরোধ করেছি। এমন ঘটনা হয়তো ঘটেনি। এটা হয়তো তৃণমূলের চাল। কেন্দ্র যেন বার্তা দেয়। এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি।’’
আরও পড়ুন- আজ প্রশ্নপত্র সকাল সাড়ে ১১ টায়, ডিএলএড প্রশ্নপত্র নিয়ে ফের নির্দেশিকা বদল পর্ষদের
মমতা-শুভেন্দু সৌজন্য সাক্ষাতে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যিনি চিঠি দিয়েছেন তার ব্যাপার। তবে রাজনীতিতে সৌজন্যের জায়গা থাকা উচিত।’’ প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার, রাজ্য বিধানসভায় ‘সংবিধান দিবস’ পালন করা হয়। তার ফাঁকেই বিরোধী দল নেতাকে চায়ের আমন্ত্রণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে যান শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে যান মনোজ টিগ্গা, অশোক লাহিড়ী এবং অগ্নিমিত্রা পালও। এই নিয়েই শোরগোল পড়ে বঙ্গ রাজনীতিতে।
এই সাক্ষাতের পর শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘‘সৌজন্য সাক্ষাৎ। তার থেকে বেশি কিছু নয়। সঙ্গে অনেককে নিয়ে গিয়েছিলাম।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পুরনো সম্পর্ক। কী আছে জানি না। কেউ কালীঘাটে প্রণাম করে আসে। উনি ওখানে প্রণাম করেছেন। এতে অন্যায়ের কী আছে।’’ এই শোরগোলের মধ্যেই এবার পত্রবাণ রাজ কমল পাঠকের। যা পদ্ম শিবিরের কাছে অস্বস্তির বলেই মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengal BJP, BJP