#কলকাতা: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা৷ তার পরেই জানা যাবে, ভবানীপুর থেকে জিতেই তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন কি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ ভোট গণনা শুরুর আগে মোটামুটি ভবানীপুরকে নিয়ে গোটা রাজ্যের রাজনীতিতে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, মুখ্যমন্ত্রী জয়ের মার্জিন কত হবে (Bhabanipur By Election Vote Counting)!
কারণ ভবানীপুরে (Bhabanipur) তাঁরা জিতবেন, গত কয়েক দিন ধরে এমন দাবি কোনও বিজেপি (BJP) নেতাকেই করতে শোনা যায়নি৷ বরং গত বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের পর থেকেই বিজেপি নেতারা নিজেদের মন্তব্যে ঠারেঠোরে মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের মার্জিন কমিয়ে নৈতিক জয়ের উপরেই জোর দিয়েছেন৷ আর ভবানীপুরে জয় পরাজয় নিয়ে কোনও মন্তব্যই শোনা যায়নি বামেদের মুখে৷
আরও পড়ুন: নজর ভবানীপুরে, ৩ আসনে ভোট গণনা LIVE
সীমানা পুনর্বিন্যাসের পর ২০১১ সালে ফের ভবানীপুর (Bhabanipur) কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়৷ ৩৪ বছরের বাম শাসন শেষ করে তৃণমূলের রাজ্যে ক্ষমতা দখলের সময় প্রথমে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুখ্যমন্ত্রী হলেও এ বারের মতোই ২০২১ সালেও তাঁকে ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে লড়তে হয়েছিল৷ কারণ তখন তিনি সাংসদ ছিলেন৷ সুব্রত বক্সী ইস্তফা দেওয়ার পর ভবানীপুর থেকে লড়ে জিতে আসেন মমতা৷
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সুব্রত বক্সী জিতেছিলেন ৪৯,৯৩৬ ভোটে৷ সেখানে উপনির্বাচনে মাত্র ৪৪ শতাংশ ভোট পড়া সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন ৫৪,২১৩ ভোটে৷
২০১৬ সালেও ভবানীপুরে সহজ জয় পান মুখ্যমন্ত্রী৷ যদিও জয়ের মার্জিন অনেকটাই কমে গিয়েছিল তাঁর৷ ২০১৬-তে ভবানীপুরে ২৫ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হন মমতা৷ ২০১৬ লাবে ভবানীপুরে ভোট পড়েছিব ৬৬ শতাংশের বেশি৷
কয়েক মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে বিজেপি-র রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮,৭১৯ ভোটে হারান তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশের কিছু বেশি৷
অতীতের এই সমস্ত পরিসংখ্যানকে একত্রিত করেই এবার ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে নৈতিক জয়ের দাবি করার অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা৷ কোনও ভাবে মমতার জয়ের মার্জিন যদি গত বিধানসভা নির্বাচনে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিনের থেকে কম হয়, তাহলেই এই নৈতিক জয়ের সাফল্যের দাবিতে সরব হবেন তাঁরা৷
আর উল্টো পরিকল্পনা তৃণমূল শিবিরে৷ মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের থেকেও জয়ের ব্যবধান নিয়েই শুরু থেকে বেশি মাথাব্যথা ছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের৷ মুখ্যমন্ত্রীর জয় নিশ্চিত জেনেও তাই ভবানীপুরে প্রচার থেকে শুরু করে ভোটদানের হার বাড়াতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি তৃণমূল নেতারা৷ উপনির্বাচনে ভবানীপুরে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের সামান্য বেশি৷ ফলে ২০১১-র মতো ব্যবধান না হলেও মুখ্যমন্ত্রীর জয়ের ব্যবধান যাতে কোনওভাবেই ২০২১-এ তৃণমূলের জয়ের ব্যবধানের থেকে না কমে, সেটাই প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল তৃণমূলের৷ শেষ পর্যন্ত ভবানীপুরে কার অঙ্ক মেলে, এখন তারই অপেক্ষা৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bhabanipur, BJP, Cpim, Mamata Banerjee, TMC