Bengal BJP: সংখ্যালঘুদের 'মন কি বাত' বুঝতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি, হাতিয়ার মোদির কেন্দ্রীয় প্রকল্প

Last Updated:

সেই সঙ্গে CAA নিয়ে সংখ্যালঘুদের মনে যাতে কোনও শঙ্কা না থাকে, সেটাও নিশ্চিত করতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। কদিন আগেই বাসন্তীর সভায় এ নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে।

কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচন তো বটেই, চব্বিশের লোকসভায় বঙ্গে পঁচিশের টার্গেট পুরণ করতেও যে সংখ্যালঘু ভোট লাগবেই, তা একপ্রকার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে পদ্মশিবিরের কাছে। তাই এবার মোদির নির্দেশ! সংখ্যালঘুদের 'মন কি বাত' বুঝে তাঁদের মন জয় করতে হবে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। তবেই মিলবে সাফল্য।
পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার প্রায় তিরিশ শতাংশ মুসলিম। পঁচিশ শতাংশের বেশি মুসলিম ভোটার রয়েছেন এমন বিধানসভা আসনের সংখ্যা ১৪৬টি। একুশের ভোটে এই ১৪৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জেতে ১৩১টিতে। অর্থাৎ, সংখ্যালঘু ভোট যার, বাংলা তার। এ এক মোটা দাগের হিসাব বলা যায়।
advertisement
advertisement
বঙ্গের নির্বাচনে ভাল ফল করতে চেয়ে সংখ্যালঘু ভোট যে একটা বড় ফ্যাক্টর, এত কোনও নতুন কথা নয়! তাহলে হঠাৎ নতুন করে এই তৎপরতা কেন? আর সংখ্যালঘু মন জয়ে আগামিদিনে কোন স্ট্র্যাটেজি নেবে বিজেপি। পদ্মশিবিরের অন্দরে এখন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে এই সমস্ত প্রশ্ন।
আপাতত, বিজেপির অন্দর সূত্রের খবর, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে, পঞ্চায়েত ভোটের কয়েক মাস আগে থেকেই সংখ্যালঘুদের মন পেতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে নেতৃত্ব।
advertisement
একুশের নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ১৪টি গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। অর্থাৎ, সংখ্যালঘু ভোটের প্রায় পুরোটাই গিয়েছিল তৃণমূলে ঘরে। সেখানেই এবার ভাগ বসাতে চায় বিজেপি। যদিও এ ব্যাপারে শাসক-শিবিরের নেতা ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ, "ওরা সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরুর কথা বলে, আমরা মানুষের কথা বলি।"
advertisement
সংখ্যালঘুদের মন জয়ে গেরুয়া শিবিরের প্রতি ভীতি কাটাতে বিজেপি অস্ত্র করতে চাইছে মোদি সরকারের প্রকল্পগুলিকে। সেই সঙ্গে CAA নিয়ে সংখ্যালঘুদের মনে যাতে কোনও শঙ্কা না থাকে, সেটাও নিশ্চিত করতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। কদিন আগেই বাসন্তীর সভায় এ নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে।
advertisement
তিনি বলেছেন, "বিজেপি সংখ্যালঘুদের বিরোধী নয়, তৃণমূল সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড থাকলে কেউ দেশ থেকে বার করতে পারবে না। নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোন।"
ওই একই সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখেও প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছিল। বঙ্গে CAA কার্যকর হলে, কোনও সংখ্যালঘু নাগরিকের যে ক্ষতি হবে না, বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে সভায় দাঁড়িয়ে রীতিমতো কথা দিয়েছেন তিনি।
advertisement
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমরা কাউকে আলাদা চোখে দেখি না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি সবার উন্নয়ন হোক, এটাই চান। উন্নয়ন নয়, বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোট বাক্স হিসেবে ব্যবহার করেছে তৃণমূল।" তাঁদের প্রতি যে বঞ্চনা হয়েছে তা বুঝতে পেরেই বাংলার সংখ্যালঘু সমাজ শাসকদলের থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে এখন উঠে পড়ে লেগেছে বঙ্গ পদ্ম শিবির।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Bengal BJP: সংখ্যালঘুদের 'মন কি বাত' বুঝতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি, হাতিয়ার মোদির কেন্দ্রীয় প্রকল্প
Next Article
advertisement
Bansuri Swaraj: 'মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও নির্যাতিতাকেই দোষারোপ করছেন!' মমতার সমালোচনায় সুষমা কন্যা বাঁশুরি
'মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও নির্যাতিতাকেই দোষারোপ!' মমতার সমালোচনায় সুষমা কন্যা বাঁশুরি
  • দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া অব্যাহত। এবার মুখ খুললেন বিজেপির সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে "লজ্জাজনক" ও "অগ্রহণযোগ্য" বলে মন্তব্য করেছেন। প্রসঙ্গত, বাঁশুরি স্বরাজ প্রয়াত বিজেপি নেত্রী ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কন্যা৷ 

VIEW MORE
advertisement
advertisement