#কলকাতা: সল্টলেকে মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল শুক্রবার। দেহের পাশে মিলেছে সুইসাইড নোট। মানসিক অবসাদে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। দেহ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্যে পাঠাল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। (Salt Lake Suicide Case)
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বিকেলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলেন সল্টলেক সিডি ব্লকের বাসিন্দা সুপর্ণা ঘোষ (৫৫)। এরপর শুক্রবার সকালে সিডি ব্লকের ১৭৪ নম্বর বাড়ির তিন তলায় এই মহিলার পাশের ঘরের প্রতিবেশী দেখতে পান ঘরের ভিতর থেকে জল বেরিয়ে আসছে। বারংবার ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেশীর দাবি। পাশের ঘরের প্রতিবেশীর পক্ষ থেকে এই মহিলার বান্ধবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: কফি শুধু খেলে নয়, ঘষলেও দারুণ লাভ! জানুন
প্রতিবেশী এবং বন্ধুরা ফোন করলেও তার কোনও উত্তর মেলেনি। দরজায় এসে ধাক্কা মারলেও কেউ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাদের। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর উত্তর থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে দেখতে পান ঘরের খাটের উপর মেয়ে স্নেহা ঘোষ এবং মেঝেতে মা সুপর্ণা ঘোষের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁদের মৃতদেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয় ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিনহা রায় জানান, ২৬ এপ্রিল মৃত্যু হয়েছিল সুপর্ণা ঘোষের স্বামী স্নেহাংসু ঘোষের। তারপর থেকেই মানসিক এবং আর্থিক ভাবে ভেঙে পড়েন তাঁরা। সে কারণেই হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, মৃত্যুর সময় তাঁর অন্তোস্টি সৎকারের জন্যে ২০ হাজার টাকাও তিনি সুইসাইড নোটের সঙ্গে রেখে যান।
আরও পড়ুন: করণ জোহরের জন্মদিনের পার্টিতে ডান্স ফ্লোর 'রক্তাক্ত' করলেন শাহরুখ খান! দেখুন
তবে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সল্টলেকে। দেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সত্যি কি মানসিক অবসাদের জেরে স্বামী মৃত্যুর এক মাস পর কর্মজীবী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যা করলেন সুপর্ণা ঘোষ নাকি অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? মা ও মেয়ের আত্মহত্যার নেপথ্যে সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
অনুপ চক্রবর্তী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।