#নয়াদিল্লি: তৃণমূলের বিরুদ্ধে পালটা আইনি লড়াইয়ে বাবুল সুপ্রিয়। রোজভ্যালিকাণ্ডে নাম জড়িয়ে মানহানির অভিযোগে, তাপস পাল, সৌগত রায় এবং মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মামলা করলেন কেন্দ্রীয় ভারীশিল্প প্রতিমন্ত্রী। দিল্লির তিস হাজারি আদালতে মোট ৫৫ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন বাবুল।
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ আগেই শুরু হয়েছিল। এবার তা গড়াল আইনি যুদ্ধে। মঙ্গলবার তৃণমূলের দুই সাংসদ তাপস পাল ও সৌগত রায় এবং বিধায়ক মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন বাবুল সুপ্রিয়। রোজভ্যালিকাণ্ডে তাঁর নাম জড়ানোর অভিযোগে, তিনজনের বিরুদ্ধে দিল্লির তিস হাজারি আদালতে মামলা করেন কেন্দ্রীয় ভারীশিল্প প্রতিমন্ত্রী।
সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই রোজভ্যালিকাণ্ডে বাবুলের নাম জড়িয়ে তোপ দাগেন তাপস পাল ৷ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে রোজভ্যালির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও কেন তাঁকে সিবিআই জেরা করছে না, সেই প্রশ্ন তোলেন সৌগত রায় ও মহুয়া মৈত্র ৷ এর জেরেই মানহানির অভিযোগ এনে আইনি নোটিস পাঠান বাবুল সুপ্রিয় ৷
সৌগত রায়কে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে কটাক্ষ করে বাবুল এদিন বলেন, ‘সাত লক্ষ টাকার গল্প কোথায় পেলেন সৌগতদা ৷ দিদির কথায় প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করছেন ৷ গলায় কালো দড়ি ঝুলিয়েছেন ৷ সৌগতদা বোধহয় মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন ৷ ২৫ কোটি টাকার মানহানি মামলার নোটিস যখন পাবেন ৷ তখনই মানসিক অবস্থা ঠিক হয়ে যাবে ৷’
মানহানি সংক্রান্ত বাবুলের অভিযোগ উড়িয়ে, পাল্টা লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল শিবির। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বাবুল রোজভ্যালির একটি অনুষ্ঠানের জন্য নগদ ৭ লাখ টাকা নিয়েছে এটা আমি বললেও, আমি কখনই এই কথা বলিনি যে বাবুল রোজভ্যালির সঙ্গে যুক্ত ৷
মানহানি মামলা করলেও, রোজভ্যালিতে নাম জড়ানোয় ঘনিষ্ঠ মহলে অস্বস্তি প্রকাশ করেন বাবুল সুপ্রিয়। রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও কিছুটা আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে করা বাবুলের প্রশ্নে, সেই আশঙ্কাই দেখছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশ্যে বাবুল সুপ্রিয়র হুঁশিয়ারি, ‘সারা দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ আমাকে নিয়েও নোংরা মিথ্যাচার করছেন ৷ আমার আইনি অধিকার আমিও বুঝে নেব ৷’ তাঁর অভিযোগ, ‘মহুয়া মৈত্র আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেছেন ৷ শুধু আমাকে নয়, প্রধানমন্ত্রীকেও সেকারণেই টিভি শোতে আমি ওর বিরুদ্ধে বলেছি ৷ টিভি শো-এর বক্তব্য নিয়ে এমনটা কাম্য নয় ৷’
সৌগত রায় এবং মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা করে মানহানির মামলা করেন বাবুল। তাপস পালের ক্ষেত্রে সেই অঙ্কটা ৫ কোটির। মানহানির মামলার ক্ষেত্রে কেন এমন বৈষম্য? রাজ্য দফতরের ঘরোয়া বৈঠকে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বাবুলকে। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'তাপস পাল আমার দাদার মতো। তিনিও চলচ্চিত্র জগতের মানুষ। স্বভাবতই তাঁর জন্য আমার সহানুভূতি রয়েছে ৷ ' বাকি দু'জনের ক্ষেত্রে অবশ্য অনেক বেশি আক্রমণাত্মক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।