#হাওড়া: ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের কারণে হঠাৎই বাতিল করতে হয়েছিল সভা। তবুও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাওড়ার ডুমুরজেলা স্টেডিয়ামে বিজেপির মহা যোগদান মেলায় উপস্থিত থাকলেন। তবে সশরীরে নয়, ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখলেন শাহ। ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার ডাক দিলেন।
শাহী সফর বাতিল হওয়ায় শনিবার রাতেই দিল্লি ছুটে গিয়েছিলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে আসা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তীরা। অমিত শাহর বাসভবনেই তাঁদের যোগদান হয়। শক্তি বাড়িয়ে আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহর হুংকার, সোনার বাংলা গড়ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তাঁর তোপ, 'দিদি আপনি একসময় দেখবেন একা দাঁড়িয়ে আছেন।'
এদিনের বক্তব্যে বাম তৃণমূল দুই আমলকেই নিশানা করেছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, "কমিউনিস্টরা বাংলা সর্বনাশ করেছিলেন এবং তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।" গত কয়েক মাসে বাংলার রাজনীতি এক নতুন নাটক দেখেছে। সেই এক্সোডাস বা দলত্যাগ নিয়ে এদিন মুখ খুলতে দেখা গেল অমিত শাহকে। তাঁর যুক্তি, " মানুষ তৃণমূল ছাড়ছে কারণ আজকে মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দেওয়া পার্টিতে তোলাবাজি চলছে।"
অমিত শাহকে বলতে শোনা গেল, " মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বিশ্বাস করে মানুষ পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু কী হল এই দশ বছরে।" বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বদলে আপনি পিছিয়ে দিলেন, নাম না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন অমিত শাহ। পাশাপাশি বললেন বাংলারর মানুষকে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত সরকার বোকা বানাচ্ছে।
এদিন অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একহাত নিতে ছাড়লেন না শাহ। তাঁর উষ্মা ধরা পড়ল যখন বললেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকার পথ করে দিচ্ছে এই অনুপ্রবেশ রাখার ক্ষমতা নেই তৃণমূলের।
এদিনও শাহের মুখে এল মনীষীদের নাম। তিনি বললেন, "রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দ রবীন্দ্রনাথের বাংলাকে নাকি রক্তাক্ত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাতে তিনি দুর্নীতি আর তোলাবাজির আঁতুড়ঘর বলে আখ্যায়িত করলেন অমিত শাহের আশ্বাস, "নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার হলে এক নতুন বাংলা তৈরি হবে যেখানে কর্মসংস্থান আর মহিলাদের নিরাপত্তা আগের থেকে অনেক বেশী সুনিশ্চিত হবে।"