#কলকাতা: দাড়িভিটে হাইস্কুলে অশান্তিতে স্পষ্ট হচ্ছে স্কুল পরিদর্শকের গাফিলতি। এই পরিস্থিতিতে স্কুল পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠকে কার্যত গাইডলাইন বেঁধে দিল দফতর। শিক্ষক পদের ক্ষেত্রে কোনওভাবেই রদবদল করতে পারবেন না পরিদর্শকরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের স্কুল পরিদর্শকও। দাড়িভিট হাইস্কুলে অশান্তির তিনি প্রধানশিক্ষকের ঘাড়েই চাপিয়েছেন বলে খবর।
দাড়িভিটের ঘটনার পুরনাবৃত্তি আটকাতে কড়া রাজ্য সরকার। জারি করা হল একাধিক নির্দেশিকা। অনেক ক্ষেত্রেই জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাজে গাফিলতি থেকে যাচ্ছে। জেলা স্কুল পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠকে অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্য সরকার। সোমবার ডিআই-দের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ৩ দফা নির্দেশিকা জানিয়েছেন৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, ডিআই-রা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবেন না৷ শিক্ষক পদে রদবদল ঘটাবেন না৷ সব ডিআইকে স্কুলে যেতে হবে৷ পড়ুয়া ও পরিকাঠামো জানতে হবে৷ তথ্য দিতে হবে স্কুল শিক্ষা দফতরকে৷
কীভাবে কাজ করবেন স্কুল পরিদর্শকরা? পরিদর্শকদের দায়বদ্ধতাও নিশ্চিত করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। কোন স্কুলে কত শিক্ষক প্রয়োজন আগেই তার তালিকা তৈরি করতে ডিআইদের নির্দেশ দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। এ ব্যাপারে স্কুলের তরফে শিক্ষক চাওয়া হয় পরিদর্শকের কাছে। কিন্তু কোথাও যেন ফাঁক থেকে যাচ্ছে গোটা পদ্ধতিতে। সমন্বয় বাড়তে অনলাইন দাওয়াই রাজ্যের। জানানো হয়েছে, অনলাইনে তথ্য প্রকাশ করতে হবে৷ প্রয়োজনীয় শিক্ষক সহ যাবতীয় তথ্য থাকবে অনলাইনে৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই নিয়োগ করা হবে৷ নিয়োগের তথ্যও তুলতে হবে ডেটাবেসে৷
স্কুল পরিদর্শকদের নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের স্কুল পরিদর্শক বিশ্বনাথ মণ্ডলও। বৈঠকে নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন তিনি। স্কুল অনুরোধ করেছিল বলেই উর্দু ও সংস্কৃতের শিক্ষক পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে স্কুলের মতামতই একমাত্র বিবেচ্য।
কিন্তু স্কুলে আদৌ যে বিষয় পড়ানোই হয় না, সেই বিষয়ের শিক্ষক চাওয়া হয়েছিল কেন? এর দায়ও প্রধানশিক্ষকের ঘাড়েই চাপিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। কীভাবে তিনি দুই শিক্ষকের পদে রদবদল করলেন, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। চাকরি পেয়েও দাড়িভিট হাইস্কুলের দুই স্কুলশিক্ষকের কেরিয়ার অনিশ্চয়তার মুখে। এর দায় কার? এই প্রশ্নেও কার্যত উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক।
তথ্য: সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উজ্জ্বল রায়
আরও ভিডিও: ঠিক কী ঘটেছে ইসলামপুরে?