আমফানের ধাক্কা সামলে লকডাউনের মাঝেই খুলল গড়িয়াহাট মার্কেট

Last Updated:

দীর্ঘ দু মাস পর আজ খুলে গেল গড়িয়াহাট মার্কেট। আমফানের দিন ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অনেক দোকানের, তাই প্রথম দিন খোলেনি সব দোকান। অনেকের দিন কাটল জিনিস পত্র গোছাতেই।

#কলকাতা: দীর্ঘ দু মাস পর আজ খুলে গেল গড়িয়াহাট মার্কেট। আমফানের দিন ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অনেক দোকানের, তাই প্রথম দিন খোলেনি সব দোকান। অনেকের দিন কাটল জিনিস পত্র গোছাতেই।
মার্চ মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল লকডাউন। তখন থেকেই বন্ধ গড়িয়াহাট মার্কেট। প্রায় তিন হাজার দোকান বন্ধ হয়ে গেছিল রাতারাতি। হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা  হওয়ায় চরম সংকটে পরেন গড়িয়াহাটের ব্যবসায়ীর। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন মার্কেটে বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীরা।
লকডাউনের চতুর্থ দফায় এসে সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড়া দিয়েছে। শুরু হয়েছে সরকারি বাস পরিষেবা। তবে সব কিছুই শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য তৈরি নিয়ম মেনে।
advertisement
advertisement
সেই সব মেনেই এদিন খুলল গড়িয়াহাট মার্কেট। গত কয়েক দিন ধরে পুলিশ, দোকানদার ও হকার্স ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনায় তৈরি হয়েছে নিয়মাবলী। প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায় রোজ খুলবে না সব দোকান।  এক দিন জোড় সংখ্যার দোকান, পরের দিন বিজোড় সংখ্যার দোকান গুলো খুলবে। তার জন্য প্রতিটি দোকানের একটি করে নম্বর ধার্য করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সব দোকনদার, হকারকে মুখে মাস্ক পড়তে হবে, তৃতীয়ত, দোকানে রাখতে হবে স্যানিটাইজারও।  সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। এই ধরনের কয়েকটি বিধি মেনে চলতে হবে সকলকে।
advertisement
সব মিলয়ে এদিন শ'খানেক ব্যবসায়ী তাঁদের দোকান খোলেন। অনেকেই লকডাউনের মাঝে এসে তাদের জিনিস পত্র কেমন আছে দেখে যান। কিন্তু অনেকের সেই সুযোগ হয় নি। এদিন দোকানের অবস্থা দেখে ভেঙে পরেন। আমফানের জন্য মূলত হকারদের ডালা গুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের ছাউনি উড়ে গেছে। বৃষ্টিতে অনেকে মালপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। মূলত সেই সব ঠিক করে আজকের দিনটা কেটে যায় অনেকেরই। হকার্স ইউনিয়নের নেতা দেবরাজ ঘোষ বলেন, 'আজ সব মিলিয়ে একশ জন দোকান খুলতে পেরেছে। আশা করছি শুক্রবার থেকে জোর বিজোড় সূত্র মেনে গড়িয়াহাট মার্কেট পুরো মাত্রায় শুরু হয়ে যাবে।' গড়িয়াহাট মার্কেটের ব্যবসায়ী অমিত সাহা বলেন, 'এবার আমাদের চৈত্র সেলে কোনও বিক্রি বাট্টা হয়নি। তারপর বিয়ের মৌসুম শুরু হয়, সেটাও মার খেয়েছে। দোকান খুলেছি কিন্তু আজ বৌনি হবে কিনা সন্দেহ আছে।' তবে এদিন হাতেগোনা দু-চারজন ক্রেতা এসেছিল গড়িয়াহাটে। মার্কেট খোলায় খুশি তারা। অস্মিতা দ্বিবেদী দীর্ঘদিন পর গড়িয়াহাট আসতে পেরে খুব খুশি। তিনি বলেন, 'গড়িয়াহাট খোলায় খুব স্বস্তি পেয়েছি। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব এখান থেকেই কিনে থাকি। দুমাস কিছুই পাইনি। তাই আজ খুলতেই চলে এসেছি।'
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
আমফানের ধাক্কা সামলে লকডাউনের মাঝেই খুলল গড়িয়াহাট মার্কেট
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement