ভাটার সময় নদীর পাড় বরাবর জেগে উঠছে বালির চর, গতি হারাচ্ছে গঙ্গা
Last Updated:
মাঝগঙ্গায় ডুব দেওয়া আর হচ্ছে না। হেঁটেই গঙ্গার মাঝে চলে যাচ্ছেন মানুষ।
#কলকাতা: মাঝগঙ্গায় ডুব দেওয়া আর হচ্ছে না। হেঁটেই গঙ্গার মাঝে চলে যাচ্ছেন মানুষ। ভাটার সময় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কাছে নদীর পাড় বরাবর জেগে উঠছে বালির চর। দেখা যাচ্ছে, বালি ব্রিজের যা দৈর্ঘ্য, গঙ্গায় তার অর্ধেকেরও বেশি অংশে পলি পড়েছে। গতি হারাচ্ছে গঙ্গা।
দক্ষিণেশ্বর থেকে বালি পর্যন্ত বালিব্রিজ। বালি ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৮৮০ মিটার। এই ৮৮০ মিটারই নদীর খাত। গঙ্গার বুকে বালি ব্রিজে মোট ছ'টি পিলার আছে। ১২৫ মিটার দূরত্বে একটি করে পিলার বসানো। ভাটার সময় দেখা যাচ্ছে, নদীখাতের অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ ৫০০ মিটার পর্যন্ত পড়েছে পলি। দক্ষিণেশ্বর ঘাট থেকে চার নম্বর পিলার পর্যন্ত পলি পড়েছে। ভাটার সময় গঙ্গায় প্রায় ৫০০ মিটার পর্যন্ত হেঁটে চলাফেরা করা যাচ্ছে। ৫০০ মিটারের পরও জলের নাব্যতা বেশি নয়। সেখানে জলের উচ্চতা খুব বেশি হলে হাঁটু পর্যন্ত।
advertisement
মাঝগঙ্গায় ডুব দিয়ে পুণ্যপ্রাপ্তিতে বাধা। শুখা মরশুমে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গার নাব্যতা হারানোর ছবিই উঠে এসেছে। ডুব দিয়ে নয়, হেঁটেই গঙ্গার মাঝ বরাবর চলে যাচ্ছেন মানুষ। যদিও বর্ষাকালে এই ছবি থাকে না। থাকে না জোয়ারের সময়ও। তখন বোঝার উপায় নেই, নীচে এতবড় বালির চর।
advertisement
প্রতিদিনই চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত পলির চর থাকছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গঙ্গা পারাপারের নৌকাও। পলি জমে গতি হারাচ্ছে গঙ্গা। ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
view commentsLocation :
First Published :
April 04, 2018 5:09 PM IST

