ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ওয়েবক্যাম চালু করার নির্দেশ না-মানায় বরখাস্ত কর্মী; উল্টে সংস্থাই পড়ল আদালতের কোপের মুখে!

Last Updated:

Work from Home : আদালতের নির্দেশে ওই কর্মীকে বেশ বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণও দিতে হয়েছে সংস্থাটিকে

তিনি সারা দিন ওয়েবক্যাম অন রাখতে অস্বীকার করায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল
তিনি সারা দিন ওয়েবক্যাম অন রাখতে অস্বীকার করায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল
ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছিল। সুদূর নেদারল্যান্ডে বসে মার্কিন সংস্থার হয়ে কাজ করছিলেন এক কর্মী। কিন্তু তিনি সারা দিন ওয়েবক্যাম অন রাখতে অস্বীকার করায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে উল্টে সেই সংস্থাকেই পড়তে হল আদালতের রোষের মুখে। এমনকী আদালতের নির্দেশে ওই কর্মীকে বেশ বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণও দিতে হয়েছে সংস্থাটিকে।
‘ফরচুন ম্যাগাজিন’-এর রিপোর্ট থেকে এই কথা জানা গিয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার একটি টেলিমার্কেটিং সংস্থা শেট্যু। এই সংস্থার ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলাকালীন একটা ট্রেনিং প্রোগ্রাম হচ্ছিল। তার নিয়ম অনুযায়ী, কর্মীদের দিনে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ওয়েবক্যাম চালু রাখতে হত। কিন্তু এক কর্মী এই নিয়ম মানতে নারাজ ছিলেন। ফলে তিনি ওয়েবক্যাম চালিয়ে রাখেননি। এর জেরেই তাঁকে বরখাস্ত করে ওই টেলিমার্কেটিং সংস্থা।
advertisement
তাদের অভিযোগ ছিল, ওই কর্মীর কাজে অনীহা ছিল। আর সেই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের নির্দেশও অমান্য করেছেন তিনি। তবে তাঁর কথায় শোনা গিয়েছে আবার অন্য সুর। ওই কর্মীর অভিযোগ, সারা দিন ধরে তাঁর উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে ভেবেই তিনি অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন। আর এতে ব্যক্তিগত জীবন এবং গোপনীয়তাকে আঘাত করা হয় বলেই মনে হয়েছে ওই কর্মীর।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : প্রথমে অশরীরী ভেবে ভুল! কাছে গিয়ে জানা গেল নদীর সেতুর স্তম্ভের সঙ্গে শিকলে বাঁধা অসহায় যুবকের করুণ-কাহিনি
ফলে এই ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। প্রতিবেদন অনুসারে, আদালতের শুনানিতেও উপস্থিত ছিলেন না কর্তৃপক্ষ। ফলে এই বিষয়ে রায় দেওয়ার সময় ডাচ আদালত জানিয়েছে যে, সংস্থায় নিযুক্ত কর্মীদের ওয়েবক্যাম চালু রাখতে বাধ্য করা আসলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটা রূপ। আর সবথেকে বড় কথা হল, ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় আট ঘণ্টা করে কর্মীদের উপর নজরদারি করার অনুমতি নেই নেদারল্যান্ডে। আর এ-ভাবেই ওই মার্কিন সংস্থা মানবাধিকারের উপর ইউরোপীয় কনভেনশনের আর্টিকল ৮-কে লঙ্ঘন করেছে। এখানেই শেষ নয়, এই রায় দেওয়ার পাশাপাশি ওই সংস্থাকে শাস্তিস্বরূপ বরখাস্ত করা প্রাক্তন কর্মীকে ৭২৭০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত।
advertisement
আরও পড়ুন :  মহাকাশ থেকে ফিরেই বিয়ে, ‘রুশ মহাকাশচারী প্রেমিক’-এর প্রতারণায় সর্বস্ব খোয়ালেন জাপানি প্রৌঢ়া
ফলে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম মডেলে এক জন বস কি তাঁর অধস্তনদের ওয়েব ক্যাম অন করে রাখার নির্দেশ দিতে পারেন?
তবে অন্য দিকে আবার, ডিজিটাল.কম এক সমীক্ষায় জানিয়েছে যে, প্রায় ৬০% কোম্পানি নিজেদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করা কর্মীদের কাজের উৎপাদনশীলতা এবং কাজ চলাকালীন বিভিন্ন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করার জন্য মনিটরিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, প্রায় ৫৩% কর্মী দিনে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় অফিসের কাজ ছাড়া অন্য কাজে অতিবাহিত করেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/চাকরি/
ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ওয়েবক্যাম চালু করার নির্দেশ না-মানায় বরখাস্ত কর্মী; উল্টে সংস্থাই পড়ল আদালতের কোপের মুখে!
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement