জলপাইগুড়ি: রাজার শহর কোচবিহার হলদিবাড়ি থেকে যাত্রীদের রানীর শহর তথা কলকাতায় নিয়ে যায় সেই ২৩ কামরার রেল গাড়িটি। নাম দার্জিলিং মেল। যাত্রাপথের মাঝেই বহু জায়গায় যাত্রীদের ওঠানামা করার জন্য থামতে হয় ।তেমনি শহর জলপাইগুড়ির বুকে অবস্থিত জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন সেখানেও দাঁড়ায় এই ট্রেনটি। কিন্তু এতে সমস্যা কোথায়? হ্যাঁ সমস্যাটা ঠিক এখানেই। জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের প্লাটফর্মে দার্জিলিং মেইল ট্রেনটি দাঁড়ালে দেখা যায় বহু সমস্যা। স্টেশনে নেই পর্যাপ্ত জায়গা। তিনটি কামরা প্ল্যাটফর্মের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ওঠা নামায় সমস্যার মুখে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। এই সমস্যা কবে মিটবে? নেই সদুত্তর।
আরও পড়ুন: সাংসদ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন বলেই ছাঁটা হয়েছিল ডানা, আবারও বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
আরও পড়ুন: রাজ্য বাজেটের মধ্যেই অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির, ডিএ ঘোষণা হতেই ওয়াক আউট!
এক প্রস্ত লড়াইয়ের পর জলপাইগুড়ি শহরের টাউন স্টেশনে দার্জিলিং মেলকে স্টপেজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেল।স্টেশনের কি কোনও উন্নতি হয়েছে? এখনও দার্জিলিং মেলের শেষ তিনটি কামরা প্ল্যাটফর্মের বাইরে থাকে। ওঠানামায় অসুবিধেয় পড়েন প্রচুর যাত্রী। ১ নম্বর রেলগেট দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায় মানুষের। যতক্ষণ না ট্রেনটি চলে যায়, ততক্ষণই রেলগেটে আটকে থাকেন অসংখ্য ভুক্তভোগী। বহু লেখালেখিতেও কিছু হয়নি।
দার্জিলিং মেল থেকে এক যাত্রী বলেন, বহু সমস্যা হয় ট্রেনে উঠতে। কারণ রাস্তা থেকে খুবই উঁচু ট্রেনে ওঠার সিঁড়ি। সেই কারণেই ট্রেনে উঠতে সমস্যা। আর রাতে উঠতে গেলে স্টেশনে পর্যাপ্ত লাইট নেই। সেই কারণেই আরেকটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। যখন তখন দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারে। নাগরিক মঞ্চের এক সদস্য বলেন, এই ট্রেন আমাদের জলপাইগুড়ির গর্ব এই ট্রেনে বহু মনীষীরা যাত্রা করেছেন। বহু আন্দোলনের পর এই ট্রেন আমরা পেয়েছি জলপাইগুড়িতে। স্টেশনের সুরাহা হয়ে গেলে ভাল হয়।
সুরজিৎ দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri, North benga news, Railways, Station, Train