জলপাইগুড়ি: আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় সরকারি হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ আনতে না পারেনি পরিবার৷ তাই, ওয়ার্ড মাস্টারের দ্বারা ময়নাগুড়ি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দ্বারস্থ হলেন পরিবারের সদস্যরা। ময়নাগুড়ি ব্লকের চুরাভান্ডার এলাকার কানু মণ্ডল, বয়স আনুমানিক ৬৯ বছর৷
গত কয়েক মাস ধরেইু মণ্ডল বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন বলে জানান পুত্র বিক্রম মণ্ডল। বিক্রম মণ্ডল জানালেন, তার বাবা হঠাৎ করে গত ১২ তারিখে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন, পরে তাকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসৈ হয়৷ এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাকে রেফার করেন। ১৪ ই এপ্রিল ভোররাতে কানু মন্ডল মারা যান।
মারা যাওয়ার পর কানু মন্ডলের মৃতদেহ কি করে বাড়িতে আনবেন সমস্যায় পড়ে যান পরিবারের লোকজন৷ পরিবারের লোকজনেরা জানান তাদের পরিবারের অবস্থা খুব খারাপ এই মত অবস্থায় মৃতদেহ বাড়িতে আনার মতন অর্থ নেই তাদের।
এই অবস্থায় বাড়ির লোকজন জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজের ওয়ার্ড মাস্টার এবি শাহাজান বলেন মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই৷ তাদের এই কথা শাহজাহান বাবুকে জানালে তিনি ময়নাগুড়ির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দীকে বিষয়টি জানান৷ বিডিও শুভ্র নন্দী মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন পরিবারকে। বিডিও শুভ্র নন্দীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ-সহ মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে ফুটছে চারদিক, কিন্তু এই বিশেষ কারণে বৃষ্টি চান না এখানকার চা শ্রমিকরা!বিডিও শুভ্র নন্দী টেলিফোনে জানান এইসব কাজ তার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।তিনি এর আগেও ,বার্নিশ এলাকার এক ,বৃদ্ধার মারা যাওয়ার পর বিনা পয়সায় সবদেহ আনার গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন সেই সঙ্গে সমব্যাথির টাকারও ব্যবস্থা করে দেন সঙ্গে সঙ্গে।
সুরজিৎ দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri News, Maynaguri