Jalpaiguri News: হাতির আতঙ্কে পাকার আগেই ধান কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা!
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তি কিংবা আশেপাশের গ্রামে হাতির হানা নতুন কিছু নয়। প্রায়শই খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হানা দেয় বুনো হাতির দল। তাণ্ডব চালায় ফসলের ক্ষেতে।
#জলপাইগুড়ি : ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তি কিংবা আশেপাশের গ্রামে হাতির হানা নতুন কিছু নয়। প্রায়শই খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হানা দেয় বুনো হাতির দল। তাণ্ডব চালায় ফসলের ক্ষেতে। কার্তিকের শেষে সবেমাত্র পাকতে শুরু করেছে জমির ধান, আর এই সোনার ফসল যাতে হাতি নষ্ট না করতে পারে সেজন্য তড়িঘড়ি ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে ধূপগুড়ি ব্লকের সোনাখালি ও খট্টিমারি বনাঞ্চল লাগোয়া গ্রামগুলির কৃষকরা। টাকা খরচ করে বিঘার পর বিঘা ধান চাষ করেন এই এলাকার কৃষকরা। খাবারের সন্ধানে বুনো হাতি যদি জমিতে হানা দেয় তাহলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে কৃষকরা।
হেমন্ত কালে মাঠ ভর্তি সোনালী ধান দেখে কৃষকদের মুখে হাসি থাকলেও হাতির আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ডুয়ার্সের বনাঞ্চল লাগোয়া কৃষকদের। কারণ পাকা ধানে মই দিতে যখন তখন হাজির হতে পারে হাতির পাল। তড়িঘড়ি বিঘার পর বিঘা ধান কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই ধান বাঁচাতে হাতি তাড়ানোর জন্য জমির পাশে তৈরি করা হয়েছে টং ঘর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেহাল দশা চেল সেতুর! ভগ্নপ্রায় সেতু দিয়েই চলছে ঝুঁকির পারাপার
সোনার ফসল রক্ষা করতে গাছের উপর কিংবা উঁচু স্তম্ভের উপর তৈরি এই টং ঘরে বসে রাতে চলছে নজরদারি ও ধানের জমি পাহারা। এমনকি জমির চারদিকে তার দিয়ে ঘিরে প্লাস্টিক বেধে দেওয়া হয়েছে।এই পদ্ধতি জমিতে হাতির উপস্থিতি জানার জন্য এলার্ম হিসেবে কাজ করে। তারে স্পর্শ হলে প্লাস্টিকের শব্দে হাতি জমিতে ঢোকেনা।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাতির ভয় দূরে ঠেলেই চলছে পরিযায়ী চাষিদের অদৃশ্য সংগ্রাম
স্থানীয় কৃষক সীতারাম রাভা, সৌমেন রায়রা জানিয়েছে,এখনো ধান কাটার সময় হয়নি।জমি গুলি যেহুতু জঙ্গল লাগোয়া তাই মাঝে মধ্যেই খাবারের সন্ধানে গ্রামে হানা দেয় হাতির দল। ধান প্রায় কাচা থাকা সত্বেও হাতির হানা থেকে ধান বাঁচাতে আধ পাকা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।হাতির পাশাপাশি ময়ূর, বাদর ও বাদুয়ের উপদ্রবও রয়েছে।
advertisement
Surajit Dey
Location :
First Published :
November 11, 2022 4:27 PM IST