#চেন্নাই: এই মুহূর্তে আইসিসির টি টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন তিনি। গত দু বছর ধরে ধারাবাহিক পারফর্ম করে চলেছেন। নাম দাউইড মালান। ইংল্যান্ডের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান উনিশটি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। সাড়ে আটশোর ওপর রান, পঞ্চাশের ওপর গড়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি শতরান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নিরানব্বই রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ওপেন করলেও দীর্ঘক্ষন ব্যাট করতে পারেন। শোনা যাচ্ছে এবারের আইপিএলে এই ব্যাটসম্যানকে নেওয়ার জন্য তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি বিড করতে পারে। সবচেয়ে আগে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। এমনিতে ইংলিশ ব্যাটসম্যান টম ব্যান্টনকে ছেড়ে দিয়েছে দল। শুভমানের সঙ্গে কখনও রাহুল ত্রিপাঠী না হলে মেকশিফ্ট ওপেনার সুনীল নারিনকে খেলানো হয়। তাই একজন বিদেশি ওপেনারের জায়গা রয়েছে দলে।
তাছাড়া মালানকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী নাইট অধিনায়ক ইয়ন মর্গান। জাতীয় দলের সতীর্থকে তিনি নিজেই নাইটদের জার্সি পড়াতে মরিয়া। তাছাড়া ইংল্যান্ডের বিখ্যাত কাউন্টি মিডলসেক্সে দুজনে একসঙ্গে খেলেছেন অতীতে। তাই নিলামে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের তুলনায় কলকাতার হাতে টাকা কম থাকলেও মালানকে সই করানোর ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছে নাইট রাইডার্স। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মোজেস হেনরিক্সকেও নিতে আগ্রহী কেকেআর।
অলরাউন্ডার রাসেল নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না। জানা নেইপরেরবার কেমন ছন্দে তিনি থাকবেন, তাই ব্যাক আপ হিসেবে মোজেসকে দলে চায় নাইট ম্যানেজমেন্ট। তিনি টি টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। এই দুজন ক্রিকেটারকে শেষপর্যন্ত নিতে পারলে নাইটদের শক্তি অনেকটা বৃদ্ধি পাবে সন্দেহ নেই। কিন্তু কেকেআরের কাজটা সহজ নাও হতে পারে। মালানকে পেতে অলআউট যেতে পারে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং রাজস্থান রয়েলস। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ফিঞ্চকে ছেড়ে দিয়েছে বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথকে রিলিজ করে দিয়েছে রাজস্থান।
মালান দলে এলে তিনি যেমন ওপেন করতে পারেন, তেমনই তিন বা চার নম্বরেও অনায়াসে খেলে দিতে পারেন। নাইটদের থেকে এই দলগুলোর হাতে টাকা বেশি। তাই শেষপর্যন্ত বিশ্বের এক নম্বর টি টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান কোন দলের জার্সি গায়ে চাপান সেটাই দেখার। কিন্তু মর্গান এবং নতুন আসা স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেন্ট নাথান লিয়ামণ নাইট শিবিরে থাকায় মালানকে পাওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে কলকাতা, এমনটা মনে করা হচ্ছে।