#বালি : না জেনে বিষাক্ততম জিনিস হাতে ধরে খেলায় মত্ত হয়েছিলেন ভ্রমণার্থী মহিলা৷ সমুদ্রের বিষাক্ত জিনিস নিয়ে প্রায় ২০ মিনিট খেলা করেন তিনি৷ আর সেই ভিডিও পোস্ট করেছিলেন টিকটকে৷ খয়েরি শরীর ও সারা গায়ে চাকা চাকা দাগ এমন একটি অক্টোপাস নিজের হাতের তালুতে ধরে রেখেছিলেন তিনি৷
তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পরই নেটিজেনরা নড়েচড়ে বসেন৷ তাঁরা পরিষ্কার বুঝতে পারেন ভদ্রমহিলা মনের আনন্দে যা নিয়ে খেলছেন তা আসলে মহাসাগরের ভয়ঙ্করতম প্রাণী৷
কায়লিন নিজ আবার অনলাইনে প্রাণীটি সম্পর্কে যা তথ্য পেয়েছিলেন তা শেয়ার করেন৷ সাইজে ক্ষুদ্র হলেও এর বিষ এতই বেশি যে প্রাপ্তবয়স্ক ২৬ জনকে মেরে ফেলতে পারে৷ তাও আবার মাত্র এক মিনিট সময়ের মধ্যেই৷ তাদের কামড়ও অনেক সময় বুঝতে পারা যায় না৷ কিন্তু সে বিষ ঢালার কিছু মুহূ্র্তের মধ্যেই শ্বাসকষ্ট ও শরীরে প্যারালিসিস শুরু হয়ে যায়৷ ব্লু রিঙ্গড অক্টোপাস কখনই বিষহীণ হয় না৷
ভিডিওটির ট্যাগলাইনে তিনি লিখেছেন , "Going to Bali and unknowingly holding one of the most dangerous animals." অর্থাৎ বালিতে গিয়ে না জেনে এই ভয়ানক প্রাণীটিকে ধরে রয়েছি৷ তিনি আরও যোগ করেন , "Called my dad crying 3 hours later." অর্থাৎ তিন ঘণ্টা বাদে বাবাকে কাঁদতে কাঁদতে ফোন করি৷
নেটিজেনরা এই ঘটনায় ভয়ঙ্কর ভয় পেয়েছেন৷ একজন লিখেছেন, ‘‘ আমার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল৷ হায় ভগবান এই ভয়ঙ্কর জিনিস৷ খুশির যে কোনও কিছু হয়নি৷
আরেকজন লিখেছেন, ‘‘ আমি অনেক অ্যানিমাল প্ল্যানেট দেখেছি, সেখান থেকেই জানি উজ্জ্বল রঙের এই প্রাণীদের স্পর্শ করতে হয় না৷ ’’
আরেকজন লিখেছেন, ‘‘ এই জন্য ওয়াইল্ড লাইফ নিয়ে ছিনিমিন খেলতে নেই৷ ওরা আমাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য নেই, ওদের কিছু এসেও যায় না যে তুমি ওদের সঙ্গে কতটা ভালো ব্যবহার করলে৷’’
এই প্রাণীরা আকারে খুবই ছোট হয়৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এদের আকার আয়তন ১২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার হয়৷ এরা একেবারে ভালো বা শান্ত তো হয়নি বরং বেশ খারাপ ব্যবহার করা প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম৷ হাত দিলে এরা ভয়ানক হয়ে ওঠে৷ ওই ট্যুরিস্ট ভদ্রমহিলা ভাগ্যবান যে তাঁকে কোনও রকম বড় বিপদের সম্মুখীন হতে হয়নি৷