কোমার মধ্যেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, প্রায় তিন মাস পর দেখা হল মা-মেয়ের!

Last Updated:

কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। এর মাঝেই তাঁর সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হয়। এর পর ৭৫ দিন লাইফ সাপোর্টে কেটেছে।

#ম্যাডিসন: প্রথমে করোনা। তার পর কোমা। প্রায় নিঃশেষ হতে বসেছিল জীবন। কোমার মধ্যেই আর এক জীবন অর্থাৎ নিজের চতুর্থ সন্তানের জন্ম দেন উইসকনসিনবাসী (Wisconsin) কেলসি টাউনসেন্ড (Kelsey Townsend)। এর পর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করে। সবাই প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এমন সময় যেন মিরাকল হয়ে গেল। প্রায় তিন মাস পর সুস্থ হয়ে এবার সন্তানের মুখোমুখি মা!
ছোট্ট মেয়ে লুসি। মাকে দেখে তার চোখগুলো যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। ঠোঁটের কোণে হাসিও এসেছে। হয়তো সন্তানের এই ছোট্ট ছোট্ট আবেগগুলোই ফিরিয়ে এনেছে তার মাকে। মেয়েকে দেখে মা বলছে, "হাই লুসি, আই লাভ ইউ। আই মিস ইউ সো মাচ!"
বর্তমানের এই আবেগঘন মুহূর্তের পিছনে কিন্তু একটা দীর্ঘ অপেক্ষা আর কঠিন লড়াই লুকিয়ে আছে। ৪ নভেম্বর করোনার থাবায় শারীরিক পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল কেলসির। কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। এর মাঝেই তাঁর সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হয়। এর পর ৭৫ দিন লাইফ সাপোর্টে কেটেছে। ২৭ জানুয়ারি। শেষমেশ মেয়ে লুসির মুখ দেখলেন তিনি। এদিন তাঁকে ম্যাডিসনের ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
চিকিৎসক জেনিফার ক্রুপের কথায় (Dr. Jennifer Krupp) একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি ছিল। অন্তঃসত্ত্বা করোনায় আক্রান্ত হন। ওঁর শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ ছিল। এই অবস্থায় সন্তান প্রসব করা খুব কঠিন ছিল। কেলসির অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল। তাই একটা ভয় ছিল। এক্ষেত্রে ভ্রূণের মস্তিষ্ক বা অন্য অংশের ক্ষতি হতে পারত। কিন্তু সন্তান প্রসব করাটাও জরুরি ছিল। সব মিলিয়ে এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
advertisement
চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের শেষের দিকে মনে হয়েছিল কেলসির ডাবল লাংস ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রয়োজন পড়তে পারে। কিন্তু এর পরই ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। কয়েকদিনের পর হাত-পা নাড়তে শুরু করেন কেলসি। রোগীর মনোবলই তাঁকে দ্রুত সুস্থ করে তোলে। দিন কয়েকের মধ্যেই ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট থেকে বের করে তাঁকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়।
advertisement
স্বামী ডেরেক টাউনসেন্ডের (Derek Townsend) কথায়, এত দিন ধরে ছোট্ট শিশুকন্যাও যেন কাউকে খুব মিস করছিল। হয় তো চিকিৎসাধীন মায়ের অভাব অনুভব করছিল সে। তিনি জানান, লুসির সঙ্গে বিগত তিনমাস বড় অদ্ভুত ভাবে কেটেছে। প্রায়শই সে মাথা নেড়ে মায়ের দিকে দেখত। তবে শেষমেশ মা ও মেয়ের দেখা হল।
advertisement
ডেরেক জানান, যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও দু'জনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। কয়েকদিনের মধ্যে নিজে সুস্থ হয়ে যান। তবে স্ত্রীর পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হতে শুরু করে। তড়িঘড়ি কেলসিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর কত রাত জেগে কাটাতে হয়েছে, তার কোনও হিসেব নেই। প্রায় দিন হয় মাঝরাতে না হয় খুব ভোরে হাসপাতাল থেকে ফোন আসত। চিকিৎসকরা জানাতেন, তাঁরা সব চেষ্টা করে ফেলেছেন। কিন্তু কেলসির শারীরিক অবস্থা কিছুতেই স্থিতিশীল হচ্ছে না। কতবার মনে হয়েছে, এই বুঝি কেলসিকে হারিয়ে ফেলবেন তাঁরা। তবে সেই অন্ধকার রাত পেরিয়ে একটা নতুন সকাল এসেছে!
advertisement
এই লড়াই জেতা সহজ ছিল না। তবে কেলসির কথায়, তিনি কখনও হেরে যাওয়ার কথা ভাবেননি। তাঁর কাছে পরিবার, স্বামী-সন্তানরাই সব কিছু। তাই তাঁদের জন্য বাড়ি ফিরতেই হত!
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
কোমার মধ্যেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, প্রায় তিন মাস পর দেখা হল মা-মেয়ের!
Next Article
advertisement
Lionel Messi in Vantara: মহা আরতি, বাঘ-সিংহর সঙ্গে ছবি, হাতির সঙ্গে ফুটবল খেলা, আম্বানির বনতারা সফর মেসিকে দিল আজীবনের স্মৃতি
মহা আরতি, বাঘ-সিংহর সঙ্গে ছবি, আম্বানির বনতারা সফর মেসিকে দিল আজীবনের স্মৃতি
  • মহা আরতি, বাঘ-সিংহর সঙ্গে ছবি

  • হাতির সঙ্গে ফুটবল খেলা

  • আম্বানির বনতারা সফর মেসিকে দিল আজীবনের স্মৃতি

VIEW MORE
advertisement
advertisement