War in Ukraine : প্রাণে বাঁচতে বাংকারে আশ্রয় নিচ্ছেন নাগরিকরা। এমনই এক মিসাইল হামলার সাক্ষী থেকেছেন ওলেনা। তাঁর চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে অনেক কিছু।
#কিভ: রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মুখ। যেন মৃত্যুর মুখ থেকে সদ্য ফিরে এসেছেন। কিন্তু তবুও চোখ দুটো যেন এই যুদ্ধ পার করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে। এমনই এক রক্তাক্ত মুখের ছবি এই মুহূর্তে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে (War in Ukraine) কোনও মতে প্রাণে বেঁচেছেন ওলেনা কুরিলো। তাঁরই ক্ষতবিক্ষত মুখের ছবি নেটিজেনের চোখে জল আনছে। একদিকে যুদ্ধের সাক্ষী থাকার যন্ত্রণা, অন্যদিকে বাঁচার প্রবল আশা। এই ছবি যেন সেই বার্তাই দিচ্ছে।
ওলেনা পেশায় ইউক্রেনের (War in Ukraine) একজন শিক্ষিকা। রাশিয়া অবরত মিসাইল আক্রমণ করে চলেছে ইউক্রেনের উপর। প্রাণে বাঁচতে বাংকারে আশ্রয় নিচ্ছেন নাগরিকরা। এমনই এক মিসাইল হামলার সাক্ষী থেকেছেন ওলেনা। তাঁর চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে অনেক কিছু। ঝুঁকিতে ছিল তাঁর প্রাণও। তবে ভাগ্যের জোরেই বেঁচে গিয়েছে ৫২ বছরের শিক্ষিকা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে দেশমাতৃকার জন্য সব কিছু করার প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি।
রাশিয়ার হামলায় ধূলিস্মাৎ হয়ে গিয়েছে ওলেনার বাড়িও। বাড়িতে যখন বিরাট বিস্ফোরণ হয়, তখন জানলার কাঁচের টুকরোগুলো এসে বিঁধে যায় ওলেনার মুখে। আশা করেননি বাঁচবেন। তাই ভাগ্যকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিনি। ওলেনা ইতিহাসের শিক্ষিকা। কোনও দিনও আশা করেননি এই জীবনে এমন অবস্থার সাক্ষী হতে হবে।
advertisement
A photo of Ukrainian teacher Olena Kurilo bloodied and bandaged after surviving a Russian missile strike, captured by @anadoluagency photo-journalist Wolfgang Schwan, became a symbol in the world media of the attack on her country. pic.twitter.com/0iS5FQxur9
শিক্ষিকার কথায়, "আমি ইউক্রেনের জন্য সবকিছু করব যা যা সম্ভব, যেটুকু শক্তি বেঁচে আছে। আমি আমার দেশমাতৃকার পক্ষেই থাকব সব সময়ে।" আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-কে বলেছেন ওলেনা। ইউক্রেনবাসী এই মুহূর্তে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা বলে দিচ্ছে ওলেনার রক্তাক্ত মুখের এই ছবি। মুহূর্তে সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়েছে তাঁর ছবি।
এই ছবি দেখে ইউক্রেনের (War in Ukraine) উপরে পুতিনের রাশিয়ার এহেন আক্রমণের নিন্দা চলছে নেটদুনিয়ায়। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজের ও রাশিয়ার ভাষায় জানিয়েছেন যে, ইউক্রেনের মানুষ শুধু শান্তি চায়। ইউক্রেনের সরকার শুধু শান্তি চায়। যুদ্ধ নয়। এও জানিয়েছেন, তাঁরা রাশিয়ার উপর পাল্টা আক্রমণ করবেন না। বরং নিজেদের রক্ষা করবেন।