বাগদা সীমান্তে ইন্ডিয়াপাড়া, কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় গ্রাম
Last Updated:
#বনগাঁ: নথি বলছে, তাঁরা স্বাধীন ভারতের নাগরিক। কিন্তু জীবন বলছে, আজও পরাধীন তাঁরা। ঘড়ির কাঁটায় বাধা তাঁদের স্বাধীনতা। রাস্তা, জল, বিদ্যুত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য--সবই বাড়ন্ত তাঁদের ঘরে। এক বুক অভিমান নিয়ে তবু ভোট দেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বাগদার ইন্ডিয়াপাড়ার কাঁটাতারে ঘেরা ব্রাত্য নাগরিকরা ।
ইন্ডিয়াপাড়া, এও যেন এক ছিটমহল। উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদা সীমান্তে আস্ত একটা পাড়া আজও রয়ে গিয়েছে কাঁটাতারের ওপারে। দৌলতপুর মৌজার মাঝ বরাবর দুই দেশের সীমানা ভাগ করছে বাসিন্দাদের ভাগ্য।
পাশাপাশি নিশ্চিন্তে আছে দুদেশের নাগারিকরা। বাড়ির গা ঘেঁষে গেছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। পিলারের ডান দিকে ভারত। বামে বাংলাদেশ। সীমান্ত পেরিয়ে মনিরুলরা যান নামাজ পড়তে দৌলতপুর মসজিদে। একই গাঁ। দেশ ভাগে ভাগ হয়েছে দু ভাগে। ভারতের বেশ কয়েক বিঘা জমি পড়ছে কাঁটা তারের ওপারে। তাতেই আটকে পড়েছে এদেশের চুয়ান্নজন ভোটার।
advertisement
advertisement
বাপ ঠাকুরদার দালান, চাষাবাদ ছেড়ে কাঁটা তারের এপারে পাকাপাকিভাবে আসা হয়নি আজও। দিনে তিনবার, মোট সাড়ে সাত ঘন্টা সময় মেলে নিজের দেশে যাতায়াতের। বাকি সময়ে গেট বন্ধ রাখে বিএসএফ।
ইটের রাস্তায় হাঁটে ইন্ডিয়াপাড়া, আজও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি গ্রামে, নেই স্কুল, হাসপাতাল, ডাক্তার, বাজারহাট, পানীয় জলের ব্যবস্থা। রাতবিরেতে এখানে অসুস্থদের ভরসা বিএসএফের অ্যাম্বুলেন্স।
advertisement
নেই-রাজ্যও জানে, ভোট এসেছে। ক্ষোভ-অভিমান চেপেই তারকাঁটা পেড়িয়ে নওদা পাড়ার বুথে ভোট দিতে আসেন সুলতান, জাহানাররা। কিছু পান কী? উত্তর খোঁজে আনমনা ইন্ডিয়াপাড়া।
এ পাড়ার দুর্দশা অজানা নয় ভোটবাবুদেরও। তাই প্রতিশ্রুতি দিলেও, মেটানোর দায় নেন না কেউ-ই । আক্ষরিক অর্থেই কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ইন্ডিয়াপাড়া আজ ভোটবাজারে ব্রাত্য-জন।
Location :
First Published :
April 30, 2019 9:26 PM IST