২৮৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পার, থাইল্যান্ডে গুহায় আটক ফুটবলারদের উদ্ধারকাজে মৃত প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার
Last Updated:
#ব্যাঙ্কক: ২৩ জুন থেকে থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহা থাম লুয়াং ন্যাং-এ আটকে ১২ জন কিশোর ফুটবলার ও তাঁদের কোচ। ১৪ দিনেরও বেশি সময় ধরে বন্দি তারা ৷ ফুটবলারদের প্রত্যেকের বয়স ১১ থেকে ১৬-র মধ্যে। কোচের পঁচিশ। তাঁদের কীভাবে বের করা যায়, তা নিয়ে এখনও ধন্দে উদ্ধারকারীরা। চিন্তা বাড়াচ্ছে বৃষ্টি। এরই মধ্যে উদ্ধারকাজে নেমে মৃত্যু হল এক প্রাক্তন নেভি অফিসারের ৷
ড্রাইভিংয়ে দক্ষ প্রাক্তন নৌসেনা সামান কুনন বৃহস্পতিবার আটক ফুটবলারদের কাছে অক্সিজেন পৌঁছনোর জন্য গুহায় প্রবেশ করেন ৷ বন্দি ১৩ জনের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে বেরিয়ে আসার সময়ই প্রাণ হারান সামান কুনন ৷ গুহামুখ থেকে ২ কিলোমিটার ভেতরে মেলে তার দেহ ৷ তবে কিভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি ৷ তবে মনে করা হচ্ছে অক্সিজেন শেষ হয়ে আসাতেই এই বিপত্তি ৷ নৌসেনার মৃত্যু উদ্ধারকাজ নিয়ে আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে ৷
advertisement
২৩ জুন। বন্ধুর জন্মদিন। সবাই মিলে আনন্দ করছিল। ঢুকেছিল গুহায়। তখন সব কিছু ছিল শুকনো-খটখটে। কিন্তু, হঠাৎই বৃষ্টি নামে। সঙ্গে হড়পা বান। যার জেরে ওই গুহাতেই আটকে পড়ে ১২ জন কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ। উত্তর থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম এবং জনপ্রিয় গুহাগুলির একটি হল এই থাম লুয়াং ন্যাং। এই গুহার সামনে এখন শুধুই হাতজোড় করে প্রার্থনা। বাচ্চা ছেলেগুলো যেন বেঁচে ফিরতে পারে। উদ্ধার কাজে কোমর বেঁধে নেমেছে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী। দিন রাত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গুহা থেকে বের করা হচ্ছে জল। কিন্তু, হলে কি হবে, নানা ছিদ্র দিয়ে ফের জল ঢুকে যাচ্ছে গুহায়। এরই মাঝে, খাবার, ওষুধ পাঠানো হচ্ছে আটকে পড়া নাবালক ফুটবলারদের কাছে। কিন্তু, এ ভাবে অন্ধকার গুহায় আর কতদিন?
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন
এই গুহার মাথায় রয়েছে জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়। গুহার উপরে কি এমন কোনও ছিদ্র নেই, যেখান দিয়ে চিমনি ঢুকিয়ে উদ্ধার করা যায়? এর জন্য বার্ড ওয়াচারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। যাঁরা লুকনো ছিদ্র পথ খুঁজতে পারদর্শী। তবে, সবচেয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। কারণ, থাইল্যান্ডের সেনা বলছে, বর্ষার সময় এই গুহা জলে ডুবে যায়। ফলে একবার বর্ষা শুরু হয়ে গেলে তিন-চার মাস উদ্ধার কাজই চালানো যাবে না। তা হলে উপায়? এই উপায় খুঁজতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
advertisement
একে তো গুহার ভিতরের গোলকধাঁধা পথ। তার উপরে হড়পা বানের জেরে ভিতরে জল। যা পেরোতে হলে স্কুবা ডাইভ ছাড়া উপায় নেই। কারণ, গুহা থেকে বেরনোর রাস্তার পথ একেক জায়গায় এতটাই সরু, যে সেখানে সাধারণভাবে সাঁতার কাটা সম্ভব নয়। একজনের পিঠে আরেকজনকে চাপিয়ে উদ্ধারও সম্ভব নয়। তাই, ওই কিশোর ফুটবলারদেরই স্কুবা ডাইভিং শেখানোর চেষ্টা করছে তাই নৌবাহিনী। যাতে তারা নিজেরাই বেরিয়ে আসতে পারে। তাদের পথ দেখানোর জন্য থাকবেন নৌবাহিনীর ২ জন করে ডুবুরি। কিন্তু, ওই কিশোর দলে অনেকে তো সাঁতারই জানেন না। তাঁদের পক্ষে স্কুবা ডাইভিং শেখাটাই কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ। তাছাড়া, যতদিন যাবে, ততই তো মানসিক চাপও বাড়বে। তাছাড়া, বেশ কয়েকদিন ধরে ঠিক মতো খাবার না পাওয়ায় প্রত্যেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে নানা সরঞ্জাম শরীরে বেঁধে স্কুবা ড্রাইভ কতটা সম্ভব তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে।
advertisement
গুহার সামনে ভিড় করে একরাশ চিন্তা। দিন-রাত চলছে প্রার্থনা। প্রত্যেকে যেন বেঁচে ফিরে আসে।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
July 06, 2018 5:15 PM IST