#বিদেশ: আমেরিকার টেক্সাসের একটি স্কুলের ছোট্ট মেয়েটি কিছুতেই আর স্কুলে আসতে চাইছিল না। কি হয়েছে তার কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না। অবশেষে শিক্ষিকাই জানতে পারলেন কি হয়েছে মেয়েটির।লাগাতার ওই বাচ্চা মেয়েটির পিছনে লাগার কারণেই স্কুলের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলছিল সে। চুল ছোট বলে লাগাতার ওই বাচ্চা মেয়েটিকে ক্ষেপিয়ে চলছিল তার সহপাঠীরা। কিন্তু কাউকে বকাঝকা না করে অভিনব উপায়ে ওই খুদে ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালেন শিক্ষিকা। ওই শিশুটির মতোই ছোট করে চুল কেটে ফেললেন তিনি নিজেও।
কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা শ্যানন গ্রিম জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি নজর করছিলেন প্রিসিলা পেরেজ নামের সেই ছাত্রীটি মাঝে মাঝেই স্কুল আসছে না। স্কুলে আসার প্রতি খুব একটা উৎসাহও নেই তার। তখনই তার সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, তার চুল ছোট বলে সহপাঠীরা প্রায়ই তাকে ‘ছেলে’ বলে ক্ষেপায়। তাই সে আর আসতে চায় না স্কুলে। এরপরই ওই ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষিকা।
শ্যানন জানিয়েছেন, তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি শুধুই পড়ুয়া বলে মনে করেন না। বরং তিনি তাদের দেখেন বন্ধু হিসেবে। সুতরাং তাদের কোনও ভুল হলে সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়াই তাঁর কাজ। ভালবেসে বুঝিয়ে বললে ছোটরা নিশ্চয়ই বুঝবে, এমনই বিশ্বাস তাঁর।এই অভিনব ভাবনায় গোটা দুনিয়া বাহবা জানিয়েছে তাঁকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hair cut off, International story, Texas