Switzerland Glacier Collapse: ভয়ঙ্কর পাহাড়ি ধস, প্রকৃতির রোষে ছবির মতো গ্রাম মুহূর্তে ধ্বংস! সুইজারল্যান্ডে ভয়ঙ্কর ঘটনা, দেখুন ভিডিও...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Switzerland Glacier Collapse: সুইজারল্যান্ডের ব্লাটেন গ্রামে হিমবাহ ধসে ৯০% এলাকা কাদায় চাপা পড়েছে। স্থানীয়দের আগে থেকেই সরিয়ে নেওয়া হলেও এক ব্যক্তি নিখোঁজ। নদী বন্ধ হয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাইরাল হয়েছে ঘটনার ভয়ঙ্কর ভিডিও...
বার্ণ: সুইজারল্যান্ডে ভয়ঙ্কর ঘটনা৷ একটি ভয়াবহ ভূমিধসের ফলে সুইস আল্পস পর্বতের বার্চ হিমবাহ আংশিক ভেঙে পড়ে৷ কাদা মাটি ও পাথর সুইজারল্যান্ডের ভালাইস ক্যান্টনের ছোট্ট গ্রাম ব্লাটেনকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেয়।
বুধবার (২৮ মে) একটি বিপুল বরফ, কাদা ও শিলাখণ্ডের স্রোত পর্বতের উপর থেকে ধসে পড়ে ব্লাটেন গ্রামের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা গ্রাস করে। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিশাল ধূলিঝড় উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং পাহাড় থেকে গড়িয়ে আসা কাদা ও পাথর গ্রামটির বেশিরভাগ অংশ গ্রাস করে নেয়।
আরও পড়ুন: চিনের রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! কেঁপে উঠল এলাকা, ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক, দেখুন ভিডিও…
advertisement
advertisement
এই ঘটনার আগেই মে মাসের শুরুতে বার্চ হিমবাহের পেছনের পর্বতভাগ ধসে পড়ার সম্ভাবনা দেখে ব্লাটেন গ্রামের প্রায় ৩০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গ্রামটির পূর্বের মনোরম সৌন্দর্য মুছে গিয়ে তা এক ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়। এই ভূমিধস লোনজা নদীর তলদেশকেও চাপা দিয়ে দেয়৷ সেখানে তৈরি হয়েছে একটি বিশাল কৃত্রিম জলাধার, যা নিচের গ্রামগুলোতে বন্যার আশঙ্কা তৈরি করেছে।
advertisement
একজন ৬৪ বছর বয়সী নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে তল্লাশি চালায় উদ্ধারকারী দল, তবে এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় পুলিশ জানায়, ধ্বংসাবশেষ এখনও এতটাই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে যে, তল্লাশি বন্ধ রাখা হয়েছে।
advertisement
সুইস হিমবাহ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ দ্রুত গলতে শুরু করেছে, ফলে এমন বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। প্রায় ৯০ লাখ মেট্রিক টন ধ্বংসাবশেষ ব্লাটেনকে প্রায় বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে এবং পুনর্গঠনে বছর লেগে যেতে পারে।
৬৫ বছর বয়সী সংস্কৃতিবিদ ভার্নার বেলওয়াল্ড বলেন, “আমার পূর্বপুরুষের তৈরি ১৬৫৪ সালের কাঠের বাড়িটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন বোঝার উপায় নেই এখানে কোনো বসতি ছিল কি না।”
advertisement
লোনজা নদী, যেটি গ্রামটির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হত, সেটিও ধ্বংসাবশেষে বাধা পেয়ে থেমে গেছে, ফলে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সুইস জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম SRF-কে ক্যান্টনের ভূতত্ত্ববিদ রাফায়েল মেয়োরাজ জানান, “লোনজা নদীর জল এখন নিচে নামতে পারছে না, কারণ ধ্বংসাবশেষে বিশাল বাধা তৈরি হয়েছে।”
Breaking:
A glacier collapse has buried the Swiss village of Blatten under mud. 💔The Lonza River is dammed and large parts of the town have been evacuated.
Tragic — but thanks to early warnings from scientists, lives were likely saved.#Switzerland #Blatten #ClimateCrisis… pic.twitter.com/ryxn8NlALL
— The Curious Quill (@PleasingRj) May 29, 2025
advertisement
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও জলবায়ু বিভাগের অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান হুগেল বলেন, প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ঘনমিটার জল জমা হচ্ছে এই বাধার কারণে। স্থানীয় সরকারি মুখপাত্র ম্যাথিয়াস এবেনার জানান, ধ্বংসাবশেষ থেকে যেসব বাড়ি অক্ষত ছিল, সেগুলিও এখন জলে ডুবে গেছে এবং আশেপাশের গ্রামের কিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভালাইস অঞ্চলের নিরাপত্তা প্রধান স্টিফেন গানজার বলেন, “এখন পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তা হল প্রায় ৯০ শতাংশ গ্রামই ধ্বংস হয়ে গেছে বা চাপা পড়েছে — এটি ব্লাটেনের জন্য একটি বড় ধরনের বিপর্যয়।” এই ঘটনার ফলে আল্পস পর্বতের পার্মাফ্রস্ট (চিরতুষারাবৃত অঞ্চল) গলতে শুরু করায় নতুন পাহাড়ি বিপদের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
advertisement
Aerial footage of Blatten in Switzerland after glacier collapse. pic.twitter.com/TsmSXhUgIa
— Disasters Daily (@DisastersAndI) May 29, 2025
সুইজারল্যান্ডের হিমবাহ পর্যবেক্ষণ সংস্থা GLAMOS-এর প্রধান ম্যাথিয়াস হুস বলেন, হিমবাহের ওপরের অংশে পাথরের স্তর নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় এটি ধসে পড়েছে এবং এর পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ভূমিকা থাকতে পারে।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
May 30, 2025 3:49 PM IST