#লন্ডন: করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন নতুন করে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে গোটা ইউরোপের। কিভাবে এর মোকাবিলা করা যায় ভেবে কুল কিনারা পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন বছর, বড়দিন শিকেয় উঠেছে। নিউ নরমালে আর কত কিছু দেখতে হবে কে জানে? এর মধ্যেই আবার এমন একটা নিয়ম জারি করল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যা এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মানুষের নজর টানছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেম বা যৌনতা মানবে না অক্সফোর্ড। গবেষণা করে দেখা গেছে এই ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ফলে সমাজে মহিলাদের প্রতি যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়ে চলেছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে ব্রিটেনের মত দেশে যৌনতা নিয়ে কে কবে মাথা খারাপ করেছে? যদিও এখনও আইন পাশ হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ এর বিরোধিতা করছেন না। ভোটাভুটি করে সবাই এক সুরে কথা বলছেন। পরের বছর থেকেই লাগু হতে পারে নতুন নিয়ম। কোনও শিক্ষক শিক্ষার্থীর মধ্যে যদি এমন সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জানাতে হবে। জোর খাটানোর অভিযোগ উঠলে শিক্ষক শিক্ষার্থীকে সাসপেন্ড করতে পারে অক্সফোর্ড।
অতীতে এমন অনেক ঘটনার ফলে বহু শিক্ষক শিক্ষার্থী স্বাভাবিক জীবনযাপন হারিয়ে ফেলেছিলেন। পারিবারিক জীবন নষ্ট হওয়া ছাড়াও মানসিক অবসাদ দেখা দিত তাঁদের মধ্যে। তবে অক্সফোর্ড যে এই সিদ্ধান্ত প্রথম নিচ্ছে এমনটা নয়। সেন্ট হাফস ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রেম বা যৌনতা নিষিদ্ধ করেছে। ওরচেস্টার নামে আরেকটি কলেজ একই বিধি অনুসরণ করার চিন্তা করছে। ইউনাইটেড কিংডম আইভি লিগ কলেজগুলো, যেমন হার্ভার্ড ও ইয়েল, কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধরনের সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেছে।
তবে এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠনগুলো কিছু প্রশ্ন যে তোলেনি তা নয়। প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন যুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম জারি করে প্রশ্ন উঠেছে। অক্সফোর্ড জানিয়ে দিয়েছে তাঁদের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এই নিয়ম অনেক কিছু দেখেই চালু করেছে। সেখানে পড়তে গেলে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই নিয়ে কোনও আলোচনা বা বিরোধিতার জায়গা নেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে তাঁরা।