#কাঠমাণ্ডু: ভারতের তিনটি এলাকাকে নিজেদের মানচিত্রে ঢুকিয়ে দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল নেপাল৷ এবার সেই বিতর্কিত মানচিত্রকেই নিজেদের সংসদে পাশ করিয়ে নিতে উদ্যোগী হলো নেপালের বাম শরিকদের জোট সরকার৷ রবিবারই সরকারের তরফে সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছে৷ এই বিলকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তো বটেই, ভারতের সমর্থক বলে পরিচিত নেপাল কংগ্রেসও সমর্থন করেছে৷
নেপালে কোনও বিল পাশ করার জন্য দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন৷ যেহেতু বিরোধীরাও এই বিলকে সমর্থন করছে, তাই সহজেই তা পাশ করিয়ে নিতে পারবে নেপাল সরকার৷ এর ফলে নেপালের নতুন মানচিত্র পাশ হয়ে যাবে সেদেশের সংসদে৷ যে মানচিত্রে ভারতের তিনটি এলাকা কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাকে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়েছে৷
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের অন্যতম শীর্ষ কর্তা অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, 'কৃত্রিমভাবে নিজেদের এলাকা বিস্তার করার এই অপচেষ্টাকে ভারত কোনওদিন স্বীকার করেনি৷ এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে নেপাল ওয়াকিবহল৷ মানচিত্রে এই ধরনের অনুচিত অদল বদল যাতে না করা হয় এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে সম্মান জানানোর জন্য আমরা নেপালের কাছে অনুরোধ করছি৷'
এর আগে শনিবার বিষয়টি নিয়ে নেপালি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে আলোচনা হয়৷ তার পরই সংবিধান সংশোধনীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা৷ জানা গিয়েছে, নেপালের সংবিধানের ৯(২) নম্বর অনুচ্ছেদের অন্তর্গত তৃতীয় অনুসূচিতে থাকা রাজনৈতিক মানচিত্রের সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷
ভারত এবং নেপাল সীমান্তে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস পর্যন্ত আশি কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা তৈরি করেছে ভারত৷ এই রাস্তা নিয়েই নেপালের আপত্তি৷ এই এলাকাটিকে ভারত নিজের বলে দাবি করলেও একই দাবি করে নেপাল৷ এই রাস্তাটি তৈরি হয়ে গেলে মানস সরোবরের তীর্থযাত্রীদের খারাপ রাস্তার বদলে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মসৃণ রাস্তা ব্যবহারের সুযোগ মিলবে৷ এই রাস্তা ধরেই একেবারেই চিন সীমান্ত পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়া সম্ভব হবে৷ এই রাস্তাটি ঘাটিয়াবাগড় থেকে শুরু করে লিপুলেখ পাসে গিয়ে শেষ হয়৷ সেখানে রয়েছে কৈলাশ মানস সরোবরের প্রবেশদ্বার৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।