ইতালীয় সহকর্মীকে নিয়েই ঝাঁপ দিয়ে বাঁচলেন রেস্তোরাঁর কর্মী !

আমি হামলা শুরু হতেই ছাদে চলে আসি। সঙ্গে আমার এক সহকর্মী। তিনি ইতালির নাগরিক।

  • Last Updated :
  • Share this:

    #ঢাকা: আতঙ্কের ১২ ঘণ্টার অবসান ৷ আধ ঘণ্টার কিছু বেশি সময় সেনা অভিযানের শেষে বিপদ্মুক্ত রাজধানী ঢাকার গুলশন এলাকার হোলি আর্টিসান বেকারি ৷  অভিযানে পাঁচ জন জঙ্গিকে খতম করার পাশাপাশি পণবন্দীদের উদ্ধার করতেও সফল হয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ৷ তবে গোটা ঘটনা ঘটার আগে ওই রেস্তোরাঁয় এমন কিছু ব্যক্তিও ছিলেন, যাঁরা অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আগেই জঙ্গিদের কবল থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পেরেছেন ৷  এদেরই মধ্যে একজন হলেন রেস্তোরাঁর সুপারভাইজার সুমন রেজা ৷

    তখন রাত ৮টা বেজে ৪৫ মিনিট । হঠাৎই ৮-১০ জন যুবক ঢুকে পড়ল বেকারিতে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শূন্যে গুলি ছুঁড়তে শুরু করল তারা ৷  শুধু আগ্নেয়াস্ত্রই নয়, তাদের হাতে ছিল তলোয়ার ছোরাও ৷ রেস্তোরাঁয় উপস্থিত ছিলেন ২০ জন বিদেশিও ৷ জঙ্গি হামলা হয়েছে বুঝতে পেরেই টেবিলের তলায় আশ্রয় নিলেন তাঁরা ৷ জঙ্গিরা বোমাও ফাটাল তখন ৷ প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠল গোটা বেকারি !

    জঙ্গি হামলা শুরু হতেই অবশ্য প্রচণ্ড সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন রেস্তোরাঁর সুপারভাইজার সুমন রেজা ৷  ছুটে চলে আসেন বেকারির ছাদে ৷ সঙ্গে ছিল এক ইতালীয় সহকর্মীও ৷ জঙ্গিরা তখনও বিস্ফোরণ ঘটিয়েই চলেছে ৷ কিছু না ভেবেই ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলেন দু’জনে ! পড়লেন পাশের এক ভবনে ৷

    নিজেরা পালিয়ে আসতে পারলেও সহকর্মীদের জন্য চিন্তা হচ্ছিল সুমনবাবুদের ৷ তাঁদেরকে ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ অবশেষে জঙ্গিদের মৃত্যুর খবরে ১২ ঘণ্টার উৎকণ্ঠার অবসান ৷ সহকর্মীরাও প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় এখন খুশি সুমনবাবুর মতো প্রত্যেকই ৷

    First published:

    Tags: Dhaka Terror Attack, Gulshan Area Restaurant, ISIS Attack, Italian Colleague, Terror Attack, আইএসআইএস, জঙ্গি হামলা, ঢাকা