Joe Biden in Ukraine: কাকপক্ষীতেও টের পেল না, কিভে পৌঁছে গেলেন জো বাইডেন! কীভাবে সম্ভব হল, জানা গেল অবশেষে

Last Updated:

জো বাইডেনের যে কোনও সফরে রেডিও, টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের মিলিয়ে মোট ১৩ জন সাংবাদিক থাকেন৷ কিন্তু এক্ষেত্রে মাত্র দু জনকেই ডাকা হয় হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে৷

কিভ: তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের উপরেই সংবাদমাধ্যমের কড়া নজর থাকে৷ এমন কি, তিনি চার্চে প্রার্থনা করতে গেলেও পিছু নেয় ক্যামেরায়৷ সেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার পৌঁছে গেলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিভে৷ অথচ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কিভ না পৌঁছনো পর্যন্ত তাঁর এই সফর সম্পর্কে কাকপক্ষীতেও টের পায়নি৷
আসলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই সফর নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছিল মার্কিন প্রশাসন৷ দুই সাংবাদিককে প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী করা হলেও আসলে কী হতে চলেছে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁরাও জানতে পারেননি৷ কীভাবে এই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওই দুই সাংবাদিকের মাধ্যমেই তা সামনে এসেছে৷ তবে সেটাও হয়েছে মার্কিন আধিকারিকদের থেকে অনুমতি পাওয়ার পর৷
advertisement
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোররাতে ওয়াশিংটন শহরের বাইরে একটি সামরিক বিমানবন্দর থেকে কিভের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ভোর চারটে নাগাদ সংবাদমাধ্যমকে অন্ধকারে রেখেই মার্কিন বায়ুসেনার এয়ারফোর্স বোয়িং ৭৫৭ যা সি-৩২ হিসেবে পরিচিত, সেই বিমানে চেপে বসেন বাইডেন৷
advertisement
সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে বিমানে যাতায়াত করেন, এই বিমানটি তার তুলনায় ছোট৷ বিমানের সব জানলাগুলিও ঢাকা ছিল৷ ১৫ মিনিট পর বাইডেন, হাতেগোনা কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী, একটি ছোট মেডিক্যাল টিম, প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পরামর্শদাতা এবং দু জন সাংবাদিককে নিয়ে বিমানটি উড়ে যায়৷
advertisement
জো বাইডেনের যে কোনও সফরে রেডিও, টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের মিলিয়ে মোট ১৩ জন সাংবাদিক থাকেন৷ কিন্তু এক্ষেত্রে মাত্র দু জনকেই ডাকা হয় হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে৷ তাও আবার দু জনের মোবাইলই প্রথমে নিয়ে নেওয়া হয়৷ অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত কোনও তথ্য বাইরে প্রকাশ করা যাবে না, এই শপথও করানো হয় তাঁদের দিয়ে৷
advertisement
যে দুই সাংবাদিক এই সফরে যাওয়ার অনুমতি পান, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন প্রতিবেদক এবং অন্যজন চিত্রগ্রাহক৷ এঁরা হলেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকি এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এর চিত্রগ্রাহক ইভান ভুসসি৷ সাবরিনা জানিয়েছেন, রাত প্রায় সোয়া দুটো নাগাদ তাঁকে ওয়াশিংটনের ওই সামরিক ঘাঁটিতে ডেকে পাঠানো হয়৷ ইউক্রেনে পৌঁছেই নিজেদের ফোন ফেরত পান তাঁরা৷
advertisement
ওয়াশিংটন থেকে রওনা দিয়ে সাত ঘণ্টা ওড়ার পর বাইডেনের বিমান প্রথম থামে জার্মানির রামস্টেইন শহরে৷ সেখানে মার্কিন সেনার সামরিক ঘাঁটিতে জ্বালানি ভরা হয় বিমানটিতে৷ এখানেও বিমানের জানলার আড়াল সরানো হয়নি৷ কেউ বিমান থেকেও নামেননি৷ জার্মানি থেকে বিমান সোজা পৌঁছয় পোল্যান্ডের জেজৌ শহরের জাসিওঙ্কা বিমানবন্দরে৷ রাশিয়া হামলা চালানোর পর থেকে এই বিমানবন্দরকে ব্যবহার করেই
advertisement
ইউক্রেনে অস্ত্র থেকে শুরু করে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে আমেরিকা৷
পোল্যান্ডে পৌঁছনো পর্যন্ত সফরসঙ্গী দুই সাংবাদিকের একজনও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখতে পাননি৷ বিমানের ভিতরেও না, এমন কি বিমান থেকে নেমে লম্বা গাড়ির কনভয়ের যাওয়ার সময়ও না৷ এমন কি, পোল্যান্ডে পৌঁছে বিমান থেকে নেমে যখন গাড়িতে করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডের রেল স্টেশনে যাচ্ছেন, তখন তাঁর কনভয়ে কোনও ধরনের সাইরেন ব্যবহার করা হয়নি৷
advertisement
স্থানীয় সময় রাত ৯.১৫ নাগাদ ওই দুই সাংবাদিক সহ বাকিরা ট্রেনে ওঠেন৷ তখনও বাইডেনকে দেখতে পাননি দুই সাংবাদিক৷
এই রেল পথ ধরেই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছয়৷ আবার এই পথেই মাতৃভূমি ছেড়েছেন ইউক্রেনের লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ আট বগির ট্রেনটির অধিকাংশ যাত্রীই নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন বাইডেনের সফর সঙ্গী সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকি৷ বাইডেন নিজেও ট্রেন সফর করতে দারুণ ভালবাসেন৷ সাংসদ থাকাকালীন ডেলাওয়ারের বাড়ি থেকে ওয়াশিংটনে ট্রেনে করে আসার স্মৃতি রোমন্থন করতেও ভালবাসেন তিনি৷
তবে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক সফরে গিয়ে দশ ঘণ্টার ট্রেন সফর করছেন, এমন নজির আছে কি না, তা দেখতে ইতিহাস ঘাঁটা প্রয়োজন৷ তাও আবার ইউক্রেনের মতো দেশে, যেখানে এখনও যুদ্ধ থামেনি৷ আফগানিস্তান, ইরাকেও অতীতে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা গিয়েছিলেন৷ কিন্তু তখন সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল মার্কিন বাহিনী৷
শেষ পর্যন্ত সোমবার ভোরবেলা কিভে পৌঁছয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ট্রেন৷ শেষ বার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিভে এসেছিলেন বাইডেন৷ তার পর সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮.০৭ মিনিটে কিভে পা রেখে বাইডেন বলেন, 'কিভে ফিরে আসতে পেরে দারুণ লাগছে৷'
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
Joe Biden in Ukraine: কাকপক্ষীতেও টের পেল না, কিভে পৌঁছে গেলেন জো বাইডেন! কীভাবে সম্ভব হল, জানা গেল অবশেষে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement