Winter flower Farming: মালামাল করে দেবে...! শীতের মরশুমে এই 'বিশেষ' প্রজাতির চন্দ্রমল্লিকা চাষে প্রচুর লাভের সুযোগ! জানুন 'সঠিক' পদ্ধতি
- Reported by:RAKESH MAITY
- hyperlocal
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Winter flower Farming: শীতের মরশুমে চন্দ্রমল্লিকার রূপের বাহার মুগ্ধ করে সকলকে। একে ‘শরৎ রানি’ নামেও অভিহিত করা হয়।
হাওড়া: শীতের মরশুমে পুনে চন্দ্রমল্লিকা চাষে প্রচুর লাভের সুযোগ! গত কয়েক বছরে এর চাহিদা দারুণ। শীতের মরশুমে চন্দ্রমল্লিকার রূপের বাহার মুগ্ধ করে সকলকে। একে ‘শরৎ রানি’ নামেও অভিহিত করা হয়। শুধু তাই নয়,শীতের মরশুমে লাভজনক পুনে চন্দ্রমল্লিকা গাছ। গত কয়েক বছরে এর চাহিদা দারুণ। সাধারণ চন্দ্রমল্লিকার থেকে এর চাহিদা বেশি। এই গাছে বড় ফুল এবং আকর্ষণীয় রঙ ও ফুল টিকে থাকে বেশিদিন। বর্তমানে এই ফুলের চাহিদা বাড়ার কারণে বাণিজ্যিকভাবে চাষ বৃদ্ধি হচ্ছে। বিস্তারিত শুনে নেব পুনে চন্দ্রমল্লিকা গাছ চাষকারীর কাছ থেকে।
চন্দ্রমল্লিকা অনেক প্রকারের হয়, তার মধ্যে বিগত কয়েক বছরে পুনে চন্দ্রমল্লিকা গাছের চাষ বেশি হচ্ছে কারণ বাজারে তার লাভ অনেক বেশি। চন্দ্রমল্লিকার চাষ সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষ এবং অক্টোবরের শুরুতে হলেও শীতকালীন মরশুমই এর ফুল ফোটার প্রকৃত সময়। এই ফুলের রোগ দমনই সাফল্যের চাবিকাঠি।
advertisement
advertisement
এই শীতকালীন ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেক প্রান্তিক চাষিরা নিজেদের জমি না থাকলেও জমি মালিকের কাছ থেকে জমি লিজে নিয়ে ফুল চাষ করেন। কিন্তু এই ফুল ফোটাতে কৃষককে যত্ন নিতে হবে। রোগ প্রতিকার করতে হবে। চন্দ্রমল্লিকার বিভিন্ন রোগ এবং তার প্রতিকারের উপায়গুলি দেখে নেওয়া যাক।
গ্রে মোল্ড হল চন্দ্রমল্লিকার মারাত্মক ও অন্যতম রোগ যা Botrytis cinerea নামক ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে। এখন প্রায় সব জায়গায় এই রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। অক্টোবর মাসের পর আবহাওয়ার আর্দ্রতা বেড়ে গেলে এবং মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। এ রোগের আক্রমণে ফুলের পাপড়ি, পাতা এমনকী কাণ্ডেও বাদামি জলে ভেজা দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত গাছে ধূসর থেকে বাদামি পাউডারের মত আস্তরণ পড়ে। ফুলের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে বাদামি দাগ হয় তার সঙ্গে এই রোগের পার্থক্য হলো বয়স হলে ফুলের কিনারার প্রান্ত থেকে বাদামি দাগ শুরু হয় যেখানে গ্রে মোল্ড রোগ হলে ফুলের পাপড়ির মাঝের অংশের থেকেই বাদামি দাগ দেখা যায়, পরবর্তীতে ফুল পচে যায়।
advertisement
এই রোগের প্রতিকারের উপায় :-
গাছে নিয়মিত নজরদারি করুন। আক্রান্ত পাতাগুলি পরিষ্কার করে এবং আক্রান্ত গাছকে উপড়ে ফেলে নিরাপদ জায়গায় ফেলুন। গাছের পাতায় জল না দিয়ে গোড়ায় জল দেওয়া উচিত। যাতে গাছের পাতা, কুঁড়ি ও ফুল শুকনো থাকে এবং গাছের গোড়ায় জল না জমে। জল দিনের শুরুতে দিন যাতে গাছ পর্যাপ্ত সময় ব্যবহার করে গাছের গোড়া শুকনো রাখতে পারে। নির্দিষ্ট রোপণ দূরত্ব অনুসরণ করে গাছকে পর্যাপ্ত আলো বাতাস সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। অতিরিক্ত সার বিশেষত নাইট্রোজেনযুক্ত সার ব্যবহার বন্ধ করুন। জমি পরীক্ষা করে সার ব্যবহার করলে ভাল হয়।
advertisement
রাকেশ মাইতি
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Oct 22, 2024 6:21 AM IST









