#হাওড়া : জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য হুগলির চন্দননগর, নদীয়ার কৃষ্ণনগরের নাম খ্যাত। ঠিক তেমনি জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য রাজ্যের বুকে দ্বিতীয় চন্দননগর বা মিনি চন্দননগর হিসাবে পরিচিত হাওড়ার বাউরিয়া। গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া-২ নম্বর ব্লকের রাজাপুর থানার অন্তর্গত রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘরভাঙ্গা বাসুদেবপুর, ঘোষালচক, সন্তোষপুর গ্রাম। কারণ এই তিন গ্রামে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০ টি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। যার মধ্যে রয়েছে বাসুদেবপুর গ্রামের প্রামানিক পাড়ার আদি পুজো যা এবছর ১৯৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল।
অন্যদিকে এ গ্রামের অপর একটি শতাব্দী প্রাচীন পুজো নাথ পরিবারের পুজো। পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে জাঁকজমকের সঙ্গে পুজো হয়ে আসছে পাড়ুই বাড়িতেও। অন্যদিকে রঘুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যতম সেরা বারোয়ারী পুজো গুলির মধ্যে রয়েছে বাসুদেবপুর মৈত্রী সংঘ, বাসুদেবপুর দাসপাড়া মিলন সংঘ, যুবক বৃন্দ, বাসুদেবপুর জুনিয়র সংহ, বাসুদেবপুর তরুণ সমিতির পুজো। পাশাপাশি রয়েছে ঘোষালচক মাতৃ সংঘ, তরুণ সংঘ, কেতুয়াপোল বেকার সংঘের পুজো।
অন্যদিকে সন্তোষপুর বনুজ পাড়ার পুজোও নজর কারে দর্শনার্থীদের। অন্যদিকে রঘুদেবপুরের পার্শ্ববর্তী সাহাপুরের খয়জপুর, বেলকুলাই গ্রামেও অনুষ্ঠিত হয় বেশ কয়েকটি পুজো। তবে এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মূলত দুই দিন ধরে হৈমন্তিকার আরাধনায় মেতে ওঠে মানুষ। পাশাপাশি তৎসংলগ্ন উলুবেড়িয়া পৌরসভার বুড়িখালী থেকে বাউড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত রাস্তাতেও অনুষ্ঠিত হয় বেশ কয়েকটি জগদ্ধাত্রী পুজো। যার মধ্যে অন্যতম দিশারী ও বাউড়িয়া স্টেশন ধার শান্তি সমন্বয় কমিটির পুজো।
আরও পড়ুনঃ ব্যারিকেডে ঘেরা যাত্রী প্রতীক্ষালয়! কী লাভ যদি ব্যবহারই না করা যায়!
বাউড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বাউড়িয়া স্টেশন শান্তি সমন্বয় রক্ষা কমিটির পুজোও। যা নজর করে দর্শনার্থীদের। প্রসঙ্গত এই দুই পুজোই অনুষ্ঠিত হয় চন্দননগরের ধাঁচে চার দিন ধরে। এদিকে উলুবেড়িয়ার রাজাপুরের রঘুদেবপুর, পাঁচলার সাহাপুর ও উলুবেড়িয়া পৌর এলাকার বাউড়িয়া এলাকায় ছোট বড় সব মিলে প্রায় ১০০ টির বেশি জগদ্ধাত্রী পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ দীপাবলিতে খুশির জোয়ার! ভাঙা বাঁশের সাঁকো নতুন করে ফিরে পেল আমতার মানুষ
আর এই এত সংখ্যক পুজোর কারণে এই এলাকা, জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য দ্বিতীয় চন্দননগর বা মিনি চন্দননগর হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। এদিকে জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে এই তিন এলাকায় দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় একাধিক ব্যাবস্থা। পুজোর দুই দিন পাঁচলা থেকে বাউড়িয়া রাজ্য সড়কে করা হবে, নো-এন্ট্রি। পাশাপাশি পুজো মণ্ডপে ডিজের ব্যাবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
Rakesh Maityনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Howrah, Jagadhatri Puja 2022