Howrah News: সূচ সুতোর নিখুঁত বুননে অসাধারণ শিল্প ফুটিয়ে তুলে চমকে দিচ্ছেন এই শিল্পী!
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
Last Updated:
শিল্পীর ছোঁয়ায় সূচ সুতো দিয়েই কখনো মাদারটেরেজা, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, সংগীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকর বা বাঙালির মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলি ফুটেঁ উঠছে। ক্যানভাস কাপড়ের উপর নিখুঁত কারুকার্য দেখে রীতিমতো অবাক সকলে।
#হাওড়া : শিল্পীর ছোঁয়ায় সূচ সুতো দিয়েই কখনো মাদারটেরেজা, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, সংগীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকর বা বাঙালির মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলি ফুটেঁ উঠছে। ক্যানভাস কাপড়ের উপর নিখুঁত কারুকার্য দেখে রীতিমতো অবাক সকলে। সদ্য হার মানা ভয়াল করোনা ভাইরাস বহু মানুষের আপনজন থেকে কাজকর্ম বহু কিছু কেরে নিলেও লকডাউন বা করোনা আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল কারো জীবনে। তার মধ্যেই একজন হলেন শিল্পী অমল পল্ল্যে, দীর্ঘদিন প্রায় তিন দশকের বেশি সময় জরির কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। যদিও তার ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকা ছিল নেশা, আর এই ছবি আঁকার নেশা চেপেছিল শৈশবের এক বন্ধুকে দেখে।
ছোট বেলায় স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে জরির কাজকে রপ্ত করে নিয়েছিল অমল। এক সময় লেখাপড়া ছেড়ে পুরোপুরি জরির কাজে যুক্ত হয়, সে সময় থেকেই তার সঙ্গ দেয় ছোট ভাই শ্যামল। তবে প্রথম থাকে অমলের মন চাইতো অন্য কিছু করার, তবে একের পর এক বছর কেটে যেতে থাকে কাজের ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই, সময় হয়ে ওঠেনি নতুন কিছু করার। হঠাৎই পৃথিবী জুড়ে করোনার দাপট। কিন্তু সেই করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু যখন থমকে পড়েছে, এমতবস্থায় হাতে কাজ নেই। অমলের হাতেও ছিল না কাজ, সেই সময়েই সুতো দিয়ে কারুকার্য শুরু করেন।
advertisement
advertisement
যদিও এই কাজ বছর পাঁচেক আগে একটু একটু শুরু করেছিলেন তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে জোরদার করে শুরু হয়, তারপর থেকেই গত দু'বছর ধরে পুরোপুরিভাবে সুতোর সাহায্যে ছবি বানিয়ে চলেছেন সে। এই কাজ শুরু করে তারপর একের পর এক অনবদ্য সৃষ্টি। কখনো তার হাতের ছোঁয়ায় মাদার টেরেজা, মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলি, মোনালিসা বা ভগৎ সিং আরোও কত কি! কঠোর ধৈর্য শক্তি ও সময়ের সাপেক্ষে তার হাতে তৈরি বিভিন্ন চিত্র। তার হাতে তৈরি শিল্পকলা রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে বা কখনো দেশের বাইরে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আধুনিক সমাজে গীতার গুরুত্ব নিয়ে উলুবেড়িয়া কলেজে আন্তর্জাতিক সেমিনার
জানা যায়, ৩০-৪০ দিন বা তারও বেশি সময় লাগে এক একটি ছবি সম্পূর্ণ করতে। উপকরণ হিসেবে লাগে, রঙিন সুতো, সূচ এবং ক্যানভাস কাপড়। প্রথমে ক্যানভাস কাপড়কে টান করে ঢাড্ডায় টেঁকে নেওয়া হয়, তারপর ট্রেসিং পেপারে ছবিটিকে ড্রয়িং করে আউটলাইন সূচের সাহায্যে ফুঁটো করে নিয়ে, ট্রেসিং পেপার থেকে ক্যানভাস কাপড়ের ছাপা, সেই ছাপ দেখে কাপড়ে সুতোর কাজ শুরু হয়। অমল বাবু জানান তার তৈরি কাজ ভিন রাজ্যে ও বিদেশে পাঠানো থেকে নতুন কাজের অর্ডার তোলা। সমস্ত কিছুটাই সামাল দেন তার ছোট ভাই শ্যামল পল্ল্যে। জানা যায়, এই কাজে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড এর জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছেন শ্যামল বাবু।
advertisement
Rakesh Maity
Location :
First Published :
December 13, 2022 6:21 PM IST