Howrah News: বাড়ির দোরগোড়া থেকেই হারিয়ে গিয়েছিল ভাই, নিথর দেহ নিয়ে ফিরল দাদা!
Last Updated:
নিমেষের মধ্যেই বাড়ির দোরগোড়া থেকে যুবককে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, প্রায় এক সপ্তাহ পর নদীর জল থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
#হাওড়া: হাওড়া দক্ষিণ সাঁকরাইল বিদ্যুৎ সংঘের মাঠ সংলগ্ন বাসিন্দা সঞ্জু রায় ২৭ বছরের যুবক স্বর্ণশিল্পী, সেদিন ছিল তাঁর জন্মদিন। শনিবার রাত তখন ১টা বাড়ির কালী প্রতিমা ভাসান পর্ব শেষে সঞ্জুর জন্মদিন পালন হয়। সে কেক কাটে খুড়তুতো দাদা বোনেদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছিল। একদিকে বাড়ি আর রাস্তার উল্টোদিকে কালীপুজোর মণ্ডপ, সেখানেই বাড়ি দোরগোড়ায় কেক কাটার পর্ব চলে।
সকলের সঙ্গে আনন্দে মেতেছিল সে। শংকর জানায়, খানিক বাদে একটি ফোন আসে, সেই যে সেখান থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল ভাই (সঞ্জু) তার আর দেখা মেলেনি। শংকর রায় জানান, কালী পুজোর প্রতিমা ভাসান শেষে, ওই দিন ছিল সঞ্জুর জন্মদিন, জন্মদিনের কেক কাটার পর্ব শেষ হয়েছে সবে মাত্র তখন আমরা সবাই জিনিসপত্র গোছাচ্ছি। সেই মুহূর্তে ভাইয়ের একটি ফোন আসে, সামান্য দূরে গিয়ে কথা বলছিল, গোছানো শেষে কয়েক মিনিটের মধ্যেই খোঁজ করতে তাকে দেখা মিলছে না, রাত একটার পর থেকে প্রায় তিনটে পর্যন্ত ফোন করার চেষ্টা করলে ব্যস্ত দেখায়, তারপর সুইচড অফ। আর দেখা পাওয়া যায়নি তারপর এদিক ওদিক অনেক খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাকে। চিন্তা বেড়ে যায়, কারণ রাস্তাঘাট জানলেও কারো সঙ্গে সেভাবে মেলা মেশা ছিল না সঞ্জুর, সঞ্জু পরিবারের সঙ্গেই থাকতো হায়দ্রাবাদে, সেখান থেকেই পুজোর ছুটি নিয়ে এসেছিল দেশের বাড়িতে।
advertisement
আরও পড়ুন: অভাব জয় করে স্বপ্নের আকাশে, বিস্ময়ের নাম হায়দার আলি! জলপাইগুড়িতে রাস্তাও হল তাঁর নামে
কার সঙ্গে কোথায় যাবে সেটাও কোন আন্দাজ করে উঠতে পারছিল না কেও। তার সেভাবে শোনাও ছিল না এলাকাই, জানা যায় পরিবার সূত্রে। বহু খোঁজাখুঁজির পর যখন পাওয়া যায়নি অবশেষে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পর পরদিন সকালে তার মাকে জানানো হয়, তার মাও দ্রুত হায়দ্রাবাদ থেকে চলে আসেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায় শেষবারের মতো আন্দুল দুইল্যা সংলগ্ন ফোনের লোকেশন পাওয়া গিয়েছে বলে জানতে পারেন পরিবার। বহু ফোন করেও আরে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: কোচবিহারের মুকুটে নতুন পালক, নিটে রাজ্যে প্রথম শীতলকুচির আফরুজা
তারপর থেকে এই কয়েকদিন বহু খোঁজ খবর, একাধিক বার পুলিশের যোগাযোগ তবে কোনওভাবেই সঞ্জুর কোনও খবর পাওয়া মেলেনি। বহু খোঁজখবর করেও মেলেনি হদিশ, পোস্টার ছাপানো, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, কোন কিছুতেই মেলেনি সঞ্জুর খোঁজ। অবশেষে রবিবার পুলিশ সূত্রে তাঁরা জানতে পারেন উলুবেড়িয়ায় নদী থেকে সঞ্জুর দেহ উদ্ধার করেছে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ । উলুবেরিয়া পুলিশ সাঁকরাইলে খবর দেয় তারা চিহ্নিত করে এবং পরে পরিবার চিহ্নিত করে সোমবার সকালে দেহ নিয়ে আসার জন্য বাড়ির লোকজন যান, বুক ভরা যন্ত্রণা নিয়ে ভাইয়ের নিথর দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলো দাদা শংকর। এই দুর্ঘটনা কী ভাবে হলো এর কারণ কি সবকিছু অজানা। তবে সঞ্জুর ফোনটি পাওয়া গেলে কিছুটা কারণ জানা যেতে পারে বলে মনে করেছে পরিবার। এই ঘটনায় পুলিশের উপরেই আস্থা রাখছে পরিবার।
advertisement
রাকেশ মাইতি
view commentsLocation :
First Published :
November 07, 2022 9:01 PM IST