#হুগলী: ছোটবেলা থেকেই ট্রেন চালানোর ইচ্ছা প্রভাসবাবুর। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারনে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু তাতে কি পূর্ব রেলের লোকাল ট্রেন এখন প্রভাসবাবুর বাড়িতেই চলছে। কোথায় দাঁড়াবে, কোথায় চলবে পুরো দ্বায়িত্বটাই প্রভাসবাবু সামলাচ্ছেন। মডেল সেই ট্রেনে রয়েছে সাধারন ট্রেনের সমস্ত কিছু। কামরার ভিতরে উপরের হাতল, বসার আসন, জানালা সামনের বাফার, সিগন্যাল লাইট সহ সমস্ত কিছু।
শ্রীরামপুরের বাসিন্দা বছর ৬৫-র প্রভাস আচার্য্যর বাড়িতে এখন চাইলেই কু-ঝিক-ঝিক শব্দ। সম্পূর্ণ ইস্পাতের তৈরী, লোহার চাকা সমৃদ্ধ মডেল এই ইলেকট্রিক ট্রেন কয়েকটি বিক্রিও করেছেন প্রভাসবাবু। কিন্তু বড় করে প্রকল্পটির ব্যাবসায়িক রূপ দেওয়ার আর্থিক ক্ষমতা নেই তাঁর। তাই তিনি চান এই প্রকল্পের ব্যাবসায়িক রূপ দিতে কোন উদ্যোগপতি এগিয়ে আসুক।
পেশায় পুরোহিত আচার্য বাবুর পূজা অর্চনা করার পরে অবসর সময় তিনি পুরোটাই ব্যয় করেন এই ট্রেন তৈরির পিছনে। লোকাল ট্রেন মালগাড়ি সহ একাধিক মডেল ট্রেন তৈরি করে ইতিমধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনদের।তার এই ট্রেন তৈরির কারণ সম্পর্কে প্রভাসবাবু জানান, ছোটবেলা থেকেই ট্রেনের লোকো পাইলট হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু অভাব অনটনের সংসারে তা সফল হয়ে ওঠেনি। সংসারের ব্যাটন ধরতে পূজা অর্চনা সঙ্গে যুক্ত হতে হয় তাকে। তবে ছোটবেলার স্বপ্ন সম্পূর্ণরূপে ছেড়ে দেননি তিনি। স্কুল জীবনের তার প্রিয় বিষয় ছিল কর্মশিক্ষা। সেই ছোটবেলাতেই তিনি শিখেছিলেন হাতের কাজ। ছোটবেলার শিক্ষা প্রকাশ পাচ্ছে বার্ধক্যতে। তার হাতের অদ্ভুত শিল্পকলা দেখে তাজ্জব হুগলী বাসি।তার স্বপ্ন বাণিজ্যিক রূপে তাঁর এই খেলনা ট্রেন একদিন খুব সফলতা অর্জন করবে।
এই খেলনা ট্রেনটির তৈরি করতে আনুমানিক খরচ ২০ হাজার টাকা। প্রভাসবাবু এই ট্রেন টির বিক্রয় মূল্য রেখেছেন ২৫ হাজার টাকা। একটি ট্রেন তৈরি করতে সময় লাগবে প্রায় ৬ মাস।
রাহী হালদার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।