Viral Love Story : ফরাসী প্রেমিকা! বাঙালি যুবকের প্রেমে প্যারিস থেকে পান্ডুয়া এলেন কনে! রইল বিয়ের বিশেষ ভিডিও
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
Viral Love Story : ভালবাসার কাছে হার মানে দেশ, বৈষম্য, হিংসে! ভালবাসার টানেই প্যারিস ছেড়ে হুগলির পাণ্ডুয়াতে এলেন ফরাসী যুবতী! লাল বেনারসি, শাখা, সিঁদুরে নতুন জীবন শুরু! রইল ভিডিও
#হুগলি: প্রেমের টানে প্যারিস টু পান্ডুয়া পাড়ি দিয়েছিলেন প্যারিসের তরুণী প্যাট্রিসিয়া ব্যারোটা। ভারতে এসে প্রেমিক কুন্তলের সঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। সোমবার রাতে শিমলাগড় কালী মন্দিরে বাস্তবায়িত হয় সেই স্বপ্ন। লাল বেনারসি, হাতে শাখা পলা পরে কালীমাতাকে সাক্ষী রেখে সাত পাকে আবদ্ধ হলেন প্যারিসের তরুণী ও পান্ডুয়ার তরুণ।
সোমবার রাতে সিমলাগড় কালীমন্দিরে অনেকেরই বিয়ে হচ্ছিল। তবে তাদের মধ্যে আকর্ষণ ছিল প্যাট্রিসিয়া ও কুন্তলের বিয়ে । আর হবেই না বা কেন সুদূর প্যারিস থেকে প্রেমের টানে প্রায় আট হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাঙালি তরুণের কাছে এসে পৌঁছেছেন ফরাসি প্রেমিকা। এদিন নববধূকে দেখতে মন্দিরে ছিল প্রচুর মানুষের ভিড়। অনেকেই আবার তার সঙ্গে তুললেন সেলফি। মালাবদল থেকে সিঁদুর দান সবই হল হিন্দু মতে।
advertisement
ইন্টারন্যাশনাল ডেটিং সাইডে পান্ডুয়ার সারদা পল্লীর বাসিন্দা কুন্তল ভট্টাচার্যের সঙ্গে পরিচয় হয় প্যাট্রিসিয়ার। তখন থেকেই চলতে থাকে তাদের মধ্যে কথাবার্তা। সম্পর্কের গভীরতা দৃঢ় হয়ে তা গড়ায় প্রেমে। কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকতেন কুন্তল, তখন থেকেই তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। চার মাসের বন্ধুত্ব থেকে আস্তে আস্তে সম্পর্ক তৈরি হয়। ক্রমেই গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এখন পান্ডুয়ায় থাকেন কুন্তল। সেই সম্পর্কের পূর্ণতা লাভ হল সোমবার স্বাধীনতা দিবসের রাতে। একদম হিন্দু শাস্ত্র মতে বিবাহ সম্পন্ন করলেন ওই যুগল। তবে দুই পরিবারের কেউই এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না। প্র্যাকটিশিয়ার ইচ্ছা ছিল মন্দিরে বিয়ে করা। করণ তার মন্দির খুব ভালো লাগে। তাই তারা দু'জনে কালী মন্দিরে বিয়ে করলেন।
advertisement
advertisement
বিয়ের পর কুন্তল বলেন, এতদিন ধরে একসাথে রয়েছি তাই বিয়ে করতেই হবে! আমাকে প্রচন্ড ভালবাসে। প্যাট্রিসিয়ার প্রথম থেকে ইচ্ছা ছিল মন্দিরে বিয়ে করার তাই বাড়ি ছেড়ে মন্দিরেই বিয়ে করলাম। তাতে দু'জনেই খুশি হয়েছি। রেড লাইন ও রেড ডট, এই দুটোকেই ভালবাসে প্যাট্রিসিয়া। রেড লাইন হল সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়া আর রেড ডট হল কপালে সিঁদুরের ফোটা দেওয়া। বিয়ের পর হানিমুনে যাওয়ার ইচ্ছা আছে দীঘা বা গোয়াতে। বিয়ের আগে কলকাতা মায়াপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। আর কিছু দিন পরেই প্যাট্রিসের বাড়ির লোকজন আসবে। প্যাট্রিসিয়া জানায় , মন্দির আমার ভাল লাগে তাই সেখানেই বিয়ে বিয়ে করলাম।
advertisement
রাহী হালদার
Location :
First Published :
August 16, 2022 7:55 PM IST