Hooghly: গঙ্গা ভাঙনের কবলে বৈদ্যবাটির কয়েকটি অঞ্চল, অবস্থা ভয়াবহ!
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবর্তী ঘাট ও রাজবংশী ঘাট গঙ্গার ভাঙনের কবলে৷ যে কোনও সময় গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে শতাধিক বাড়ি। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
#হুগলি : বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবর্তী ঘাট ও রাজবংশী ঘাট গঙ্গার ভাঙনের কবলে৷ যে কোনও সময় গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে শতাধিক বাড়ি। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজবংশী পাড়ার ঘাটের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। গোটা ঘাটটাই তলিয়ে গেছে গঙ্গায়। যে টুকু অবশিষ্ট রয়েছে তাতেও ধরেছে ফাটল। রাজবংশী পাড়া ১৫০ থেকে ২০০ মৎস্যজীবী পরিবার বসবাস করে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে গঙ্গার পাড়ের বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের লোক জন আসে মাপজোপ করেন মাঝে মধ্যেই ,কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না অভিযোগ বাসিন্দাদের।
গঙ্গায় মাছ ধরতে রাতবিরেতে পেটের তাগিদে বেরোতে হয় এই ঘাট দিয়েই। তাদের দাবি প্রশাসনের তরফ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো মুহূর্তে গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে তাদের তাদের বাড়ি ঘর৷ চক্রবর্তী ঘাটের শতাব্দী প্রাচীন একটি অশ্বত্থ গাছ গঙ্গার ভাঙ্গনের ফলে উপড়ে গেছে৷ গাছের পাশে থাকা একটি শিব মন্দির গঙ্গার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। চক্রবর্তী ঘাটের পাশাপাশি বাসিন্দাদের দাবি, কয়েক বছর ধরে গঙ্গার পাড় ভাঙ্গনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হঠাৎ ডুবল অস্থায়ী বাঁশের সেতু! বিপাকে স্থানীয় বাসিন্দারা
গঙ্গা থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলাকেই দুষছেন তারা। তাদের দাবি গঙ্গার পাড় ভাঙ্গন রোধ এবং শতাব্দী প্রাচীন গাছটিকে পুনঃস্থাপনের ব্যবস্থা করা হোক প্রশাসনের তরফ থেকে। এই বিষয়ে বৈদ্যবাটী পৌরসভার পূর্ত দপ্তরের পুর পারিষদ সুবীর ঘোষ বলেন,গঙ্গার পাড় পোর্ট ট্রাস্টের জায়গা।তাদের একাধিক বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান এর জন্য বহু টাকা খরচ করা হলেও সেই কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহল।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ রোড রোলার চুরি করল বাঁটুল! আসল রহস্য কি? খোলসা করল পুলিশ
সেচ দপ্তর সূত্রে খবর হুগলি জেলা জুড়ে ৭৮ কিলোমিটার গঙ্গার পাড় রয়েছে। এই বিস্তর এলাকা সংস্কারের জন্য আরও বেশ কিছু পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে আরও অনেক টাকার ও প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই ভাঙন রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
advertisement
Rahi Haldar
view commentsLocation :
First Published :
August 22, 2022 3:17 PM IST