Hooghly News: এখনও ভোট দেন, তবু বৃদ্ধা আরতির নাম ওঠে না সরকারি প্রকল্পের তালিকায়
- Published by:Kaustav Bhowmick
- news18 bangla
Last Updated:
স্বামী ছেড়ে চলে গিয়েছে, অসুস্থ শরীরে আর কাজ করতে পারেন না। পরিতক্ত বাড়িতে কোনরকমে দিন কাটছে বৃদ্ধা আরতি মুখার্জীর। তবে এখনও নিয়ম করে ভোট দেন। কিন্তু বার্ধক্য ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার জোটে না তাঁর
হুগলি: উত্তরপাড়ার মখলার বাসিন্দা আরতি মুখার্জী। বছর ৬০-এর এই বৃদ্ধার দিন কাটছে খুবই কষ্টে। পরিবারে কোনও সদস্য নেই। পেট চালানোর জন্য লোকের বাড়ির দরজায় দরজায় হাত পাতছেন। কেউ টাকা দিলে তবেই দুপুরে একমুঠো ভাত জোটে। এদিকে যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিলেও পাননি কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। বার্ধক্য ভাতা বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না বৃদ্ধা আরতিদেবী।
এই মহিলা একসময় হাসপাতালে আয়ার কাজ করতেন। স্বামী ছিল, এক মেয়েও ছিল। ভরা সংসার ছিল আরতি মুখার্জীর। কিন্তু অল্প বয়সেই মারা যায় মেয়ে। পরবর্তীতে স্বামীও তাঁকে ছেড়ে চলে যান। একাকী সংগ্রামী জীবন শুরু হয় আরতিদেবীর। আয়ার কাজ করে কোনরকমে নিজের পেট চালাতেন। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই কাজও চলে যায়। বর্তমানে ফুটো কানাকড়িও রোজগার নেই তাঁর। এদিকে বার্ধক্যজনিত কারণে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক চোখে ঠিক করে দেখতে পান না, ভাল করে হাঁটতে পারেন না। তাই কাজ চলে যাওয়ার পর ভিক্ষাবৃত্তি করেই পেট চালাতে শুরু করেন। যদিও শত না পাওয়া, শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এখনও ভোট দিতে যান। প্রতিবছর ভোট আসলেই তাঁকে বাড়ি থেকে টোটোয় করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে যায় পাড়ার ছেলেরা।
advertisement
advertisement
নিজের দুরবস্থা নিয়ে বৃদ্ধা আরতি মুখার্জী বলেন, "একটু সাহায্যের আশায় বারবার প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেছি। দুয়ারে সরকার বসলে সেখানে গিয়েও সব কাগজ জমা দিয়ে এসেছি। আশা ছিল বার্ধক্য ভাতা পাব। কিন্তু মেলেনি কিছুই। প্রতিবেশীরা কেউ দু'মুঠো খাবার দিয়ে গেলে তবেই পেট চলে।" নিজের বসত বাড়িও নেই। একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে এই বৃদ্ধার।
advertisement
এই বিষয়ে উত্তরপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, "যে মহিলার কথা বলা হচ্ছে তিনি পুরসভায় কোনও আবেদন করেছেন কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
রাহী হালদার
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 19, 2023 10:36 PM IST